প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, কাঞ্চনপুর,, ২ সেপ্টেম্বর,,
সংবিধান মেনে মন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার পরও আইন ভেঙে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ত্রিপুরার মৎস্য মন্ত্রী সুধাংশু দাসের বিরুদ্ধে। সামাজিক মাধ্যমে মন্ত্রীর উস্কানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক মহল। সুধাংশু দাসের বিরুদ্ধে এবার মাঠে নামলো বিরোধী কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলও। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে মন্ত্রী সুধাংশু দাসের অপসারনের দাবি করা হয়েছে। একইভাবে আইন মেনে তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তদন্ত করার দাবি উঠেছে কংগ্রেসের তরফে।
এই ইস্যুতে সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস এক সাংবাদিক সম্মেলন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী সুধাংশু দাসের সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক পোস্ট সবার সামনে তুলে ধরা হয়। কিভাবে একজন মন্ত্রী জাতিগতভাবে নির্দিষ্ট একটি ধর্মের লোকেদের উস্কানি দিয়েছেন তার বিস্তারিত তুলে ধরেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। একইভাবে দেশের সংবিধান মেনে সম্প্রীতি রক্ষায় এই ধরনের পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস দলের তরফে মন্ত্রী সুধাংশু দাসকে অবিলম্বে মন্ত্রী পদ থেকে অপসারনের দাবী তুলা হয়েছে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। একইভাবে ঘটনায় পুলিশ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। সুধাংশু দাসকে অবিলম্বে মন্ত্রী পদ থেকে না সরালে কংগ্রেস আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে মন্ত্রী সুধাংশু দাসের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও সংখ্যালঘু গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণ সহ উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ রয়েছে। এবার রানীরবাজারে অশান্তির ঘটনার পর সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন যখন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে তখনই মন্ত্রী অত্যন্ত দায়িত্বহীনভাবে নিজের সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট করেন। যদিও পরবর্তীকালে সমালোচনার মুখে তিনি সেই পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হন। কিন্তু মন্ত্রীর সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মন্ত্রীর মত দায়িত্বশীল পদে থেকে সুধাংশু দাসের এই সমস্ত বক্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদের ভূমিকাকে প্রশ্নচিহ্নের মধ্যে তুলে দিয়েছে বলে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক মহলের অভিমত।