সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৫ ফেব্রুয়ারি,,
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি সহ ২২ দফা দাবিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চা সহ একাধিক কৃষক সংগঠন ও সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়ন আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রাম ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি এই বনধ পালন করা হবে। গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরাতেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে।আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারী গ্রাম ভারত বনধ এবং শিল্প পরিবহন ধর্মঘটকে সামনে রেখে ত্রিপুরায় বামপন্থীদের পাশে দাঁড়ালো ত্রিপুরা প্রদেশ কৃষাণ কংগ্রেস এবং অল ত্রিপুরা অসংগঠিত শ্রমিক কংগ্রেস। ধর্মঘটের সমর্থনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজপথ দাপিয়ে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। বামেদের ধর্মঘটে কংগ্রেসের সক্রিয় অংশগ্রহণ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে।

প্রসঙ্গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেশের ৫০০টি কৃষক সংগঠন , বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন সহ পরিবহন সংগঠনগুলো একসাথে গ্রাম ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও গত কয়েকদিন যাবত ধর্মঘটের সমর্থন এর ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে বামপন্থী কৃষক এবং শ্রমিক সংগঠন গুলো। বৃহস্পতিবার আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার রাজ্য আহ্বায়ক পবিত্র কর বলেন ২২ দফা দাবির ভিত্তিতে এই ধর্মঘট হবে। রাজ্যের সবকটি জেলা এবং মহকুমাস্তরে ধর্মঘটের সমর্থনের প্রচার হয়েছে। ১০ হাজার পোস্টার লাগানো হয়েছে এবং ২০ হাজার লিফলেট বিলি করা হয়েছে। তিনি বলেন ধর্মঘটে শ্রমিক কৃষকরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন ।
অন্যান্য ধর্মঘটের মতোই ধর্মঘটে জরুরি পরিসেবা সহ পরীক্ষাকালীন সময়ে পরীক্ষার ছাত্র-ছাত্রীরা আওতার বাইরে থাকবেন। পাশাপাশি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা দিল্লির অভিমুখী কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থন জানান এবং তাদের উপর সরকারের শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যায় আগরতলায় রাজপথ দাপিয়ে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল করে প্রদেশ কংগ্রেস ।
প্রদেশ কংগ্রেসের কৃষক এবং অসংগঠিত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে এই মিছিল হয়। মিছিলে কংগ্রেস নেতৃত্ব ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করে নাগরিকদের আগামী কালকের গ্রামীণ ভারত ধর্মঘট স্বার্থক করার আহ্বান জানান। যদিও আগামীকালকের ধর্মঘটে বামপন্থীদের তরফে কোথাও কোন পিকেটিং হবে কিনা এই বিষয়ে তারা স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। ধর্মঘটের দিনে শহরে একটি মিছিল করবে বামপন্থীরা। তবে বামপন্থীদের ধর্মঘটে কংগ্রেসের সমর্থন এবং প্রচার মিছিলের পর পুলিশ প্রশাসন কিছুটা চাপে রয়েছে। সূত্রের দাবি ধর্মঘটের দিনে রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের জেলা স্তরে জরুরী বৈঠক হয় এবং পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা স্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।