প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, খোয়াই,, ৪ আগস্ট,,
পঞ্চায়েত নির্বাচনে অঘোষিত জোট রয়েছে বিরোধী সিপিআইএম কংগ্রেস এবং তাদের সাথে শাসক বিজেপির বন্ধু দল হিসেবে পরিচিত তিপড়া-মথার। সূত্রের খবর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সিপিআইএম কংগ্রেস এবং মথা একসাথে মিলে রাজনৈতিক প্রচার করছে এবং সময় সময়ে শাসকদলের নেতাকর্মীদের ধোলাই দিচ্ছে। শনিবার রাতে ঠিক এমনই একটি রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে খোয়াই রামচন্দ্রঘাটে। অভিযোগ সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং তিপড়া মথার যৌথ হামলায় আহত রয়েছেন শাসক দলের পঞ্চায়েতে প্রার্থী সহ একাধিক কর্মকর্তা। হামলার ঘটনায় সিপিআইএমের দুই কর্মীকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ।
অভিযোগ শনিবার রাত দশটার পর সিপিআইএম,কংগ্রেস এবং তিপড়া মথার দুষ্কৃতিকারীরা প্রথমে হামলা চালায় বিজেপির কার্যকর্তা দিলীপ শুক্ল বৈদ্যের বাড়িতে । তাদের সঙ্ঘবদ্ধ হামলায় গুরুতর জখম হন দিলীপ শুক্ল বৈদ্য। এরপর দুষ্কৃতিকারীরা শংকর দেবের বাড়িতে প্রবেশ করে আক্রমণ সংগঠিত করে এবং পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ। একইভাবে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি পঞ্চায়েত প্রার্থী সুব্রত দেবের বাড়িতে। হামলায় সুব্রত দেব আহত হয়েছেন। দুষ্কৃতিকারীরা হামলা সংগঠিত করে ফিরে যাবার সময় পঞ্চায়েত প্রার্থী সুব্রত দেবকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আহতদের খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন রামচন্দ্র ঘাট মণ্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা। সঞ্জীব দেববর্মা জানান পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে শাসক দলীয় কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের লক্ষ্যে সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে তিন দলীয় জোটের কর্মী সমর্থকরা। তারা হামলা চালাচ্ছে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘরে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত বিজেপি সরকারে শরিক রয়েছেন তিপড়া মথা। মন্ত্রিসভায় মাথার দুজন মন্ত্রী রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি এবং তিপড়া-মথা শরিক দল। কিন্তু তারপরও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশ কিছু জায়গায় তিপড়া মথা বিজেপি থেকে পৃথক হয়ে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। বিভিন্ন স্থানে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের হয়ে বিজেপি নেতাকর্মীদের ধোলাই দেওয়ার কাজ করছে মথা নেতাকর্মীরা। বিষয়টি হাসির খোরাক হয়ে গেছে।