প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,,১৯ মে,,
রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বৈঠক করলেন আই পি এস অনুরাগ ধনখর। ১৯৯৪ ব্যাচের আই পি এস অনুরাগ ধনখর এতদিন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের মহা নির্দেশক ছিলেন। গোয়েন্দা বিভাগের মহা নির্দেশক থাকাকালীন সময়ে তিনি সর্বোচ্চ সাফল্য হিসেবে রাজ্যের কুখ্যাত জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের সরকারের সাথে আলোচনার ব্যবস্থা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। এবার তিনি পুলিশ মহা নির্দেশক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যকে প্রকৃত অর্থেই নেশা মুক্ত গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিতে চাইছেন বলে খবর। সোমবার পুলিশ মহা নির্দেশক পুলিশের সমস্ত বিভাগের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেন।

সেই বৈঠকে তিনি পুলিশ আধিকারিকদের কর্ম ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সুষ্ঠ রেখে নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার প্রতি গুরুত্ব দেন। একইভাবে অনুপ্রবেশের সমস্যার ক্ষেত্রে পুলিশকে আরো পারদর্শিতা দেখানোর পরামর্শ দেন। প্রথম বৈঠকে মহা নির্দেশক অনুরাগ ধনখর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন বলে পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত আইপিএস অনুরাগ ধনখর পুলিশ ম্যানেজমেন্টে স্নাতক উত্তর ডিগ্রি প্রাপ্ত। এছাড়াও তিনি সাইবার ক্রাইম, প্রতারক সনাক্তকরণ প্রভৃতি বিষয়ের উপর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ডিগ্রি প্রাপ্ত। তিনি দীর্ঘ বছর নিজের চাকরি জীবনে কসোবুতে ইউ এন্ড মিশনে কাজ করেছেন। তিনি ভারত সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইএ এসপি, ডিআইজি এবং অতিরিক্ত অধিকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। একইভাবে সিআইএসএফের আইজি থাকার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে শিখ বিরোধী ডাঙ্গার তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকের অধীনে গঠিত তথা বিশেষ তদন্তকারী দলের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরা পুলিশের আইন শৃঙ্খলা বিভাগের আইজি থাকাকালীন সময়ে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এগুলির মধ্যে অন্যতম হলো বাইক এবং স্কুটারে চলাফেরা করার সময় আরোহীর (পেছনে সিটে বসা লোকের) মাথায় হেলমেট ব্যবহারের বিধি হিসেবে চালু করা। প্রথমদিকে আইজি আইনশৃঙ্খলার (অনুরাগ ধনখরের ) এই বিধি নিষেধ নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও পরবর্তীকালে রাজ্যের সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমাতে সেই বিধি নিষেধ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে উঠে এসেছে। ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি ইন্টিলিজেন্স থাকাকালীন সময়ে ত্রিপুরার উগ্রপন্থা সমস্যা তিনি রীতিমতো নির্মূল করেছেন। এবার ত্রিপুরা পুলিশের মহা নির্দেশকের দায়িত্ব পেয়ে তিনি নেশা মুক্ত সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছেন রাজ্যবাসী।