Home জাতীয় খবর চূড়ান্ত মুহূর্তে স্থগিত নিট পিজি পরীক্ষা; ভুক্তভোগীদের তালিকায় রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীও।

চূড়ান্ত মুহূর্তে স্থগিত নিট পিজি পরীক্ষা; ভুক্তভোগীদের তালিকায় রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীও।

0
Oplus_131072

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৩ জুন,,

নিট কেলেঙ্কারির জেরে অবশেষে চূড়ান্ত মুহূর্তে স্থগিত করা হল নিট পিজি পরীক্ষা। ২৩ জুন রবিবার( আজকে ) দেশে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত মুহূর্তে মাত্র ১২ ঘন্টা আগে শনিবার রাতে সরকারিভাবে এই পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয় ন্যাশনাল বোর্ড অফ এক্সামিনেশন তথা এন বি ই (মেডিকেল সাইন্স)।

চূড়ান্ত মুহূর্তে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে গোটা দেশে লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী সমস্যায় পড়েছেন। ভুক্তভোগীদের তালিকায় রয়েছেন আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীও। বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নিট এবং নিট ইউজিসি নিয়ে কেলেঙ্কারির পরও কেন এন বি ই সময় থাকতে পিজি পরীক্ষা বাতিল করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগে পরীক্ষা বাতিল হয়নি বলে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা এডমিট কার্ড অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ছুটে যায়। তারা গাঁটের পয়সা খরচ করে হোটেল ভাড়া নেয় এবং গাড়ি রিজার্ভ করে পরীক্ষা কেন্দ্র গুলির সন্ধান বের করে। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকজনও রয়েছে। এতে করে তাদের প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত মুহূর্তে শনিবার রাতে নোটিফিকেশন জারি করে প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এন বি ই পূর্ব ঘোষিত নেট পিজি পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়টি জানিয়ে দেয়। এই ধরনের সরকারি নির্দেশ বের হওয়ার পরই দেশজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জানা গেছে আমাদের আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু সংখ্যক এমবিবিএস পাস করা ছাত্র ছাত্রী দেশের বিভিন্ন রাজ্য গেছেন এই পিজি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। চূড়ান্ত মুহূর্তে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর তারাও সমস্যায় পড়েছেন। দেশের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত গাফিলতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের গাঁটের পয়সা খরচ হয়েছে। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক মহলেও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীরা সরকার পক্ষের কাছে ভর্তুকির দাবি করেছেন। নিট কেলেঙ্কারিতে গোটা দেশজুড়ে যখন উত্তাল অবস্থা রয়েছে তখন দেশের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ড ইচ্ছা করলেই পিজি পরীক্ষা আগে বাতিল করে দিতে পারতো। তাতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক ক্ষতি এবং হয়রানীর শিকার হতে হতো না। কিন্তু সরকারি উদাসীনতায় তা হয়নি বলেই অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version