প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, বিশালগড় ,, ৮ মে,,
নিজের জন্মদাতা বৃদ্ধ বাবাকে মেরে অসুস্থ করে বিনা চিকিৎসায় ঘরে বেঁধে রেখে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল এক ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পশুর থেকেও খারাপ আচরণ করা হচ্ছে সেই বৃদ্ধের সঙ্গে। মানবতার জন্য কলঙ্কজনক এই ঘটনা গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এলাকার ২ নং ওয়ার্ডে। অসহায় এই বৃদ্ধের নাম রাজু বিশ্বাস। কাঞ্চনমালা এসবি স্কুল সংলগ্ন এলাকার বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাসের ছেলে মন্টু বিশ্বাস কয়েক মাস আগে জন্মদাতা বাবাকে(রাজু বিশ্বাসকে) মেরে হাত এবং কোমর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। কিন্তু তারপরেও ছেলের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ করেননি বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাস। তৎকালীন সময়ে ঘটনার খবর পেয়ে কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ এলাকার অনেকেই উনার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘটনার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন এবং অভিযুক্ত ছেলেকে বলা হয়েছিল তার বৃদ্ধ বাবাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মন্টু বিশ্বাস তার অসুস্থ বাবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি বরং অসুস্থ বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাসকে ঘরের মধ্যে দড়ি দিয়ে পশুর মত বেঁধে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজু বিশ্বাসের স্ত্রীও স্বামীর কোন যত্ন করেন না বলে অভিযোগ। ছেলে এবং স্ত্রীর এই অমানবিক আচরণের খবর পেয়ে বুধবার কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ কুমার মজুমদার ফের ছুটে যান বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাসের বাড়িতে। সেখানে বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাসের অবস্থা দেখতে পেয়ে তিনি রীতিমতো শিহরিত হয়ে উঠেন। নোংরা জায়গাতে ফেলে রেখে বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাসের উপর অমানবিক অত্যাচার করা হতো। প্রধানকে দেখে শয্যাশায়ী বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাস বাঁধন মুক্ত করতে সাহায্য চান। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ রয়েছেন।এই ধরনের অমানবিক আচরণের ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আগামী শুক্রবার বিচারসভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন প্রধান প্রদীপ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাসের সাথে ছেলে এবং স্ত্রী যে ধরনের আচরণ করছে তাতে মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে। কোন মানুষের সাথে এই ধরনের আচরণ করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সমাজে এই ধরনের জঘন্য ঘটনা কোনভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। এলাকাবাসী অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।