Home ত্রিপুরার খবর আগরতলা খবর এডিসির ফান্ড নিয়ে সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট প্রদ্যোৎ কিশোর ! প্রতিক্রিয়ায় অতীত বন্ধু...

এডিসির ফান্ড নিয়ে সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট প্রদ্যোৎ কিশোর ! প্রতিক্রিয়ায় অতীত বন্ধু কংগ্রেসের প্রতি ভালবাসার প্রকাশ

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৫ অক্টোবর,,

“কংগ্রেসের সঙ্গে আমার কখনো বিরোধ ছিল না। বিরোধ ছিল না সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী কিংবা কংগ্রেসের অন্য কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে। কংগ্রেস জানে আমি কোনদিন তাদের সম্বন্ধে কোন কটুক্তি করিনি। শুধুমাত্র বিরোধ ছিল তৎকালীন ত্রিপুরার কংগ্রেস পর্যবেক্ষক লুইজিনহু ফেলেইরোর সাথে। আমি যখন কংগ্রেসে ছিলাম তখন আমি কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছি। এখন আমি তিপড়ামথায় তাই তিপড়ামথার হয়ে কাজ করছি।” ত্রিপুরা উপজাতি স্ব-শাসিত এলাকা তথা এডিসিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফান্ড দেবার দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্য সচিবের সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সাথে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে একথা বলেন তিপড়ামথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। সম্প্রতি কংগ্রেসের একটি অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন প্রদ্যুৎ কিশোর এবং তিপড়া মথাকে উদ্দেশ্য করে আহ্বান রেখেছিলেন কংগ্রেস দলের সাথে মিশে যাওয়ার জন্য। সুদীপ বর্মনের সেই আহবান নিয়ে এদিন প্রদ্যুৎ কিশোরের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের সরাসরি কিছু না বললেও মহারাজ ফের একবার কংগ্রেসের প্রতি তার ভালোবাসার কথা জাহির করেছেন। তিনি কথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে তার কোন বিরোধ নেই। পাশাপাশি তিনি বর্তমান রাজ্য সরকার এডিসির অর্থ বরাদ্দ নিয়ে যেভাবে বঞ্চনা করছেন তা নিয়ে মথা সুপ্রিমো উষ্মা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বলেন আগামী ১৪ তারিখ খুমলুঙ এ তিপড়ামথার একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত দলীয় কর্ম সমর্থকদের সামনে রাখবেন। প্রসঙ্গত বিশ্বস্ত সূত্রের খবর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমর্থনে গঠিত “ইন্ডিয়া” জোটে ত্রিপুরার তিপড়ামথাকে পাশে চাইছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। তবে মথা সুপ্রিম মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দফায় দফায় নিজের সিদ্ধান্ত বদল করছেন বলে তার অবস্থান এখনো স্পষ্ট করে কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা। গ্রেটার তিপড়া ল্যান্ডের দাবিকে ইস্যু করে গড়ে উঠা তিপড়ামথা দল আগামী দিনে ঠিক কোন দিকে হাঁটবে তা লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার রাজনীতির জন্য বড় ফেক্টর হয়ে উঠেছে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version