Home ত্রিপুরার খবর আগরতলার রাজপথে সুদীর্ঘ লাল স্রোত; ভারত বন্ধের সমর্থনে সরব প্রচার বামেদের।

আগরতলার রাজপথে সুদীর্ঘ লাল স্রোত; ভারত বন্ধের সমর্থনে সরব প্রচার বামেদের।

0

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৩ ফেব্রুয়ারি,,

ভারত বন্ধের সমর্থনে আগরতলায় আয়োজিত বামদের মিছিলে মঙ্গলবার ফের একবার লাল স্রোত দেখা গেল আগরতলার রাজপথে। সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চা এবং ট্রেড ইউনিয়ন গুলির মিছিলে পায়ে পা মিলিয়েছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। বিজেপি জোট জামানায় সমস্ত সন্ত্রাস এবং বিভেদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আগরতলা শহরের বুকে বামপন্থীদের লম্বা মিছিল রাজ্যের বিরোধী শিবিরে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

প্রসঙ্গত ২২ দফা দাবির সমর্থনে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রাম ভারত বনধ ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলোর ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে আজ সারা রাজ্যে সংগঠিত হয়েছে মিছিল ও সভা। বিলি হয়েছে প্রচার পুস্তিকা। আগরতলায় আজ হরিগঙ্গা বসাক রোড, মঠ চৌমহনি বাজার, লেক চৌমহনি, বটতলা, দুর্গা চৌমহনি ও গোলবাজারে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। সর্বত্রই বামপন্থীদের মিছিলে ব্যাপক জনসমর্থন লক্ষ্য নিয়ে ছিল। আগরতলায় এসব মিছিল এবং সভায় বক্তব্য রাখেন পবিত্র কর,শঙ্কর দত্ত,অমল চক্রবর্তী।

সংযুক্ত কিষান মোর্চা ত্রিপুরার আহ্বায়ক ও ভারতকৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন ও ধর্মঘট ভারতের মানুষ এর আগে দেখেছেন একুশবার।আজকে শ্রমজীবী মানুষের ওপর মোদি সরকারের যে অত্যাচার শুরু হয়েছে তার প্রতিরোধের রাস্তা কৃষক শ্রমজীবী মানুষ, ছাত্র যুবক ও মহিলারা তৈরি করেছে।এই সংঘবদ্ধ আন্দোলন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।আগামীদিন সারা দেশ জানতে চাইবে ‘ ‘কেন দেশের কৃষক শ্রমজীবী মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো মোদি সরকার’? পবিত্র কর বলেন ‘মনের ভাবটা এমন যেন শুধু মন্দির পরিস্কার করে বা মন্দির নির্মাণ করেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’।তিনি বলেন ন্যুনতম সহায়ক মূল্য দেয়ার কথা, বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার করা, শস্যের উৎপাদনের সময়ে কৃষকদের যে ক্ষতি তার প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেয়া,মাসিক ১৮০০০ টাকা প্রদান, শ্রম কোড বাতিল করা,২০০দিনের রেগার কাজ বাধ্যতামূলক করার মত দাবিগুলো সরকার মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেনি।তিনি বলেন মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই এই জবাব চাইবে এবং জবাব দেবে। আগামী দিনের ভারত বনধে সামিল হতে সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান । সিপিআইএম পশ্চিম জেলা অফিসের সামনে থেকে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলোর একটি বিশাল মিছিল বনধ ও ধর্ম ঘটের সমর্থনে শহর পরিক্রমা করে ওরিয়েন্ট চৌমহনিতে এক সভায় মিলিত হয়।সেখানে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ রাজ্য কমিটির সম্পাদক শঙ্কর দত্ত ।

তিনি বলেন মোদি সরকার কথার খেলাপ করেছে। শুধুমাত্র কৃষকদের সাথে নয়, শ্রমিকদের সাথে এবং সমগ্র দেশবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।এর জবাব চাইছে দেশবাসী।তিনি একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন ২২ কোটি বেকার ইন্টারভিউ দিয়েছে।কাজ পেয়েছে সাত লাখ বাকি একুশ কোটি ৯৩ লক্ষ বেকার কাজ পায়নি তারা জবাব চাইছে।তিনি বলেন এটা বেকারদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে ।

সি আই টি ইউর রাজ্য সভাপতি মানিক দে বলেন নরসিংহ রাও সরকার খোলা অর্থনীতি নিয়ে এসেছিলেন, মনমোহন সিং একে এগিয়ে নিয়ে গেছেন । আর বর্তমান মোদি সরকার সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছেন।আজ মানুষের জীবন বিপন্ন।সবচেয়ে বেশি বিপন্ন অন্নদাতারা, দেশের মানুষ বিপন্ন।দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন দেশের সম্পদ আট দশজনের হাতে আর এজেন্সি লাগিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বিরোধীদের।সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে আরো বলেন গত সোমবারের মথা পন্থীদের ধর্মঘটকে পুলিশের সাহায্য ধর্মঘট বলে অভিহিত করে তিনি বলেন পুলিশ চুপ করে সব দেখেছে এত মানুষের হয়রানি হয়েছে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ১৬ তারিখ দেখবেন ওরাই উল্টো পথে হাঁটছে ।তিনি তাই সমস্ত ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে ১৬ তারিখ ধর্মঘটে সামিল হতে আহ্বান জানান,কারণ সেদিনের দাবি জনগণের দাবি আগামী প্রজন্মকে রক্ষার দাবি।সভায় বক্তব্য রাখেন রঘুনাথ সরকার,গোপাল দাস ও শ্যামল বৈদ্য।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version