সংবাদ প্রতিনিধি,,১৪ জুন,,
রোমান হরফ চালু করার দাবিতে তিপরাসা ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বুধবার সাময়িক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায়। ছাত্র-ছাত্রীদের ভিআইপি সড়কে অবরোধ তুলতে জল কামান এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে পুলিশকে।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং দৌড়েঝাপে আহত হয়েছেন কয়েকজন ছাত্রছাত্রীসহ দুজন পুলিশ কর্মী। আহতদের মধ্যে কয়েকজন জিপি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শেষ খবর পর্যন্ত দিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ কিছুটা চড়া রয়েছে। প্রসঙ্গত ছাত্র-ছাত্রীদের বোর্ড পরীক্ষায় ককবরকে রোমান হরফ ব্যবহারের জন্য শহর কাঁপিয়ে আন্দোলন করলো তিপরা মথার ছাত্র সংগঠন টি এস এফ। এদিন দুপুরে টিএসএফের নেতৃত্বে বিশাল সংখ্যায় উপজাতি ছাত্রছাত্রীরা রাজধানীর বিবেকানন্দ ময়দানে জমায়েত হয়। সেখান থেকে তারা মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। টিএসএফের বিশাল মিছিলে স্তব্ধ হয়ে পড়ে ভিআইপি সড়কের যান চলাচল।
নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে ছিল মিছিল নিয়ে রাজভবনে গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করবে। তাদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিশাল পুলিশ টি এস আর নামানো হয় শহরে। আরক্ষা বাহিনী রাজধানীর সার্কিট হাউজের সামনে টিএসএফের মিছিলটি আটকে দেয়। পুলিশ মিছিল আটকে দিলে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় বসে ভিআইপি সড়ক অবরোধ করে দেয়। পুলিশ আধিকারিকদের কথায় সেখান থেকে এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে তাদের দাবির ভিত্তিতে দাবি পত্র তুলে দেন রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বেলা সাড়ে তিনটার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং এনসিসি মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের বিবরণ প্রতিনিধি দল ফিরে আসার পর পুলিশ ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন জানায় রাস্তা অবরোধ তুলে ভিআইপি সড়ক খালি করে দিতে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা করেনি। বরং একাংশ নেতৃত্বের উস্কানিতে তারা হঠাৎ পুলিশ বেরিকেট ভেঙে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। পুলিশ বাধ্য হয়ে প্রথমে জল কামান এবং পরবর্তীকালে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস তথা কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে।
টিয়ার গ্যাস ছুড়ার পর আন্দোলনকারীদের একাংশ এদিক সেদিক দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কিছুটা আহত হয়। একইভাবে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এনসিসি থানার পুলিশ আধিকারিক সহ দুজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। পরে বিশাল পুলিশ টিএস আর মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র সংগঠনের দাবি একাংশ পুলিশ তাদের গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর লাঠিচার্জ করেছেন। পুলিশের হাতে অনেক ছাত্রী নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে একাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
সন্ধ্যায় আহতদের দেখতে জিবি হাসপাতালে ছুটে যান মথার নেতৃত্ব। ছাত্র-ছাত্রীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে টিএসএফ সহ তিপড়া মথার একাংশ নেতৃত্ব।
