প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,,২২ জুলাই,,
জেলা শাসকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার পরও গন্ডাছড়ায় যেতে পারলেন না প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। অমরপুরের পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী রাস্তা আটকে দিল কংগ্রেসের। ফিরিয়ে দেওয়া হল আগরতলায়। প্রসঙ্গত ১২ জুলাই রাতে গন্ডাছড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে কিছুদিন যাবতই প্রশাসনিক অনুমতি চাইছিল প্রদেশ কংগ্রেস। অবশেষে রবিবার রাতে ধলাই-জেলা শাসকের তরফে কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে গন্ডাছড়ায় যেতে অনুমতি দেওয়া হয় বলে কংগ্রেসের বিবরণ। প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে সোমবার সকালে জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে একটি দল গন্ডাছড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, যুব কংগ্রেস সভাপতি নীলকমল সাহা , কংগ্রেসের প্রচার সম্পাদক আমির হোসেন সহ কয়েকজন। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল গন্ডাছড়ায় যাওয়ার আগে অমরপুরে হঠাৎ করে পুলিশের একটি দল এসে রাস্তা আটকে দেয়।
পুলিশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন ধলাই জেলার অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ কয়েকজন। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানান কংগ্রেস প্রতিনিধি দল সেখানে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। প্রশাসনের তরফে যেহেতু ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে তাই সেখানে পাঁচজনের বেশি কেউ যেতে পারবেনা। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চারজন সেখানে যাবেন বলে পুলিশের কাছে অনুমতি চান। কিন্তু তারপরও পুলিশ দল কংগ্রেস নেতাদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পুলিশ বিশাল সংখ্যক টিএসআর সহ রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কংগ্রেস প্রতিনিধি দলকে আটকে রাখে। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন তখন প্রশ্ন তোলেন তাহলে কিভাবে ১৬৩ ধারা জারি থাকার পরও মথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন এবং মন্ত্রী টিংকু রায়ের নেতৃত্বে রাজনৈতিক নেতারা গন্ডাছড়ায় গিয়েছিলেন। পুলিশ আধিকারিকরা কংগ্রেস বিধায়কের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। সুদীপ রায় বর্মন অভিযোগ করেন প্রশাসন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কংগ্রেস দলকে আটকে দিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ যুক্তি তর্কের পরও পুলিশ রীতিমতো যুক্তিহীন ভাবে কংগ্রেস দলকে গন্ডাছড়া যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখে। এমনকি কংগ্রেস দলের সাথে থাকা সাংবাদিক প্রতিনিধির দলকেও সেখানে যেতে বাঁধা দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল গন্ডাছড়ায় গেছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী নজরদারি করছে বলে জানা গেছে। পুলিশ প্রশাসনের এদিনের আচরণ গন্ডাছড়া অস্থির পরিস্থিতির প্রমাণ বহন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের অভিযোগ প্রশাসন মুখে বলছে শান্তি ফিরে এসেছে, কিন্তু প্রশাসনের আচরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে গন্ডাছড়া এখনো অস্থির রয়েছে। প্রশাসন সেখানে সত্য লুকাতে চাইছে। সত্য লুকানোর চেষ্টাতেই অনুমতি দেওয়ার পরও প্রশাসনিকভাবে কংগ্রেস প্রতিনিধির দলকে গন্ডাছড়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।