সংবাদ প্রতিনিধি,, ২১ সেপ্টেম্বর,,,
৪৫৪ টি ভোট পেয়ে লোকসভায় পাস হলো মহিলা সংরক্ষণ বিল তথা নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম । বিগত ২৭ বছর ধরে ঐক্যমতের অভাবে ঝুলে থাকা মহিলা সংরক্ষণ বিল সর্বসম্মতিক্রমে বুধবার পাস হলো লোকসভায়। এদিন সকাল ১১টায় লোকসভায় বিলের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। পরে ৪৫৪ জন সংসদের সমর্থনে ৩৩ শতাংশ মহিলা আসন সংরক্ষণের বিষয়ে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হয়। এই ঐতিহাসিক বিল পাস হওয়ার পরে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণ করা হবে।মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন ছিল। তবে বিরোধীরাও সকলেই প্রায় এই বিলের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন। বুধবার স্লিপের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি সাংসদদের ভোট হয়। লোকসভায় এই বিলের সমর্থনে ভোট পড়ে ৪৫৪টি । বিলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন মাত্র দুইজন সাংসদ।এদিন বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সাংসদরা বর্তমানে জেনারেল, এসসি, এসটি-এই ৩ বিভাগে নির্বাচিত হল। আমরা তাদের প্রত্যেকটিতেই মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত করেছি। তিনি বলেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলের মাধ্যমে দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নীতি নির্ধারণে মহিলাদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত হবে।
তবে ঠিক কবে নাগাদ মহিলারা সংসদে বা বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছুই ঘোষণা হয়নি। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে বিলটি দ্রুত কার্যকর করার দাবি করা হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী বলেন, দেশের মহিলারা আর কত দিন এই বিল পাসের জন্য অপেক্ষা করবে? কংগ্রেস চায় বিলটি এখনই কার্যকর করা হোক। রাহুল গান্ধী বলেন, বিলটি এখনই কার্যকর করা প্রয়োজন। এর জন্য জনগণনা কিংবা ডিলিমিটেশনের জন্য অপেক্ষা কেন? পাল্টা অমিত শাহ বলেন, আপনারা এই বিল সমর্থন করেন বা না করেন ২০২৯ সালেই এই বিল কার্যকর হবে। ভোটের পরপরই ডিলিমিটেশন ও সেনসাস হয়ে যাবে। তার পরেই বিলটি কার্যকর হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মহিলা ভোট নিজেদের দখলে নিতে বিজেপি সরকার এই বিল তড়িঘড়ি পাস করালেও দেশের মহিলাদের বাস্তব ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি এখনো অনেক দূর ঝুলে আছে।
Recent Comments