প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, বিশালগড়,, ১২ আগস্ট,,
জমি অধিগ্রহণ করেও মালিক পক্ষকে টাকা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। দিনের পর দিন জমির মালিক পক্ষকে টাকা না দিয়ে সময় নষ্ট করছে রাজ্য সরকারের সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসকের জমি অধিগ্রহণ সংগৃহীত বিভাগ। সরকারের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় ২০২০ সালে সরকারি অফিস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট জমির মালিক। অবশেষে আদালতের নির্দেশে সিল করে দেওয়া হয়েছে সিপাহীজলার অতিরিক্ত জেলা শাসকের জমি অধিগ্রহণ সংগৃহীত অফিস। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা সোমবার জেলা শাসকের অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসকের জমি অধিগ্রহণ সংগৃহীত বিভাগের অফিসে ঢুকে সমস্ত আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী লোহার শেকল দিয়ে একসঙ্গে বেঁধে দেন যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে। পরবর্তীকালে সেই অফিসের দরজা লাগিয়ে তালা মেরে আদালতের নোটিশ ঝুলিয়ে সেই অফিসটি সিল করে দেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশে জেলাশাসকের অফিসে তালা পড়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ‘অনিল টি প্লান্টেশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে কোম্পানির জায়গায় সিপাহীজলা জেলাশাসকের বর্তমান অফিস নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ করার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোম্পানিকে পাওনা ৫ কোটি টাকা মিটিয়ে দেয়নি। টাকা না পেয়ে সেই কোম্পানি ২০২০ সালে আদালতে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ বছর সেই মামলা চলে। অবশেষে ৩০ জুলাই ২০২৪ তারিখে সিপাহীজলার এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জর্জ উক্ত মামলার রায় দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার বিকেলে সিপাহীজলা জেলাশাসকের অফিসে অতিরিক্ত জেলাশাসকের আওতাধীন জমি অধিগ্রহণ সংগৃহীত অফিস সিল করে দেওয়া হয়। যতদিন পর্যন্ত জমির প্রকৃত মালিককে সঠিক মূল্য মিটিয়ে দেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত এই সরকারি দপ্তরে তালা ঝুলবে বলে ‘অনিল প্লান্টেশন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’র নিয়োজিত আইনজীবী জানিয়েছেন। টাকা না দেওয়ায় সরকারি অফিসে তালা পড়ার ঘটনা রাজ্যের ইতিহাসে রীতিমতো নজিরবিহীন।
Recent Comments