মন্দির নগরীতে পিটিয়ে খুন সংখ্যালঘু বৃদ্ধ ! দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ। সহমর্মিতায় ভাজপা নেতৃত্ব।

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,২৯ নভেম্বর,,

সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সংখ্যালঘু বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ত্রিপুরার গোমতী জেলার মন্দিরনগরী উদয়পুরে। অভিযোগ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পাঁচটায় উদয়পুর এগ্ৰিকালচার চৌমুহনীতে নৃশংসভাবে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ৬০ বছরের বৃদ্ধ রজ্জব আলীকে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় রাঙামাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার যুবক আক্তার হোসেন একটি অটোরিকশা চালিয়ে আসার সময় এলাকার সুব্রত সাহা@ কালুর সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। সুব্রত সাহা আক্তার হোসেনকে তখন মারতে শুরু করেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে এলাকার সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত রজ্জব আলী (৬০) তাদের ঝামেলা থামাতে চেষ্টা করেন। তখনই সুব্রতর সঙ্গে থাকা সঞ্জয়, বলাই সহ আরো কয়েকজন ছেলে এবং মহিলা মিলে রজ্জব আলীকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ ।

শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে নৃশংসভাবে আঘাতে এক সময় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন রজ্জব আলী। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় রজ্জব আলীকে উদ্ধার করে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান । কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পর রাতেই রজ্জব আলীর ছেলে বিস্তারিত জানিয়ে আর কে পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর কে পুর থানার পুলিশ এই ঘটনায় খুনের মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আর কে পুর থানায় মামলার নাম্বার ১৬৭/২০২৩।

পুলিশ এই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করলেও অভিযুক্তদের অধিকাংশই এখনো অধরা। ঘটনাটি কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আর কে পুর থানাধীন মৃতের বাড়ি তথা রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার উদয়পুর-কিল্লা রাস্তায় অবরোধ তৈরি করেন। রাস্তার উপর টায়ার জালিয়ে চলে প্রতিবাদ। নারী পুরুষ সবাই রাস্তায় নেমে দোষীদের ফাঁসির দাবি তোলেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আর কেপুর থানার পুলিশ। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ টি এস আর। পরিস্থিতি শান্ত করতে একসময় সেখানে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক রাম পদ জমাতিয়া। ছুটে যান বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি শাহ আলম মজুমদার।

তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তক্রমে দোষীদের প্রত্যেককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। আশ্বাস দেন মৃতের পরিবারকে সাহায্য প্রদানের। পরবর্তীকালে আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ মুক্ত করেন। তবে এই ঘটনায় এলাকাতে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে সূত্রের দাবি।