সংবাদ প্রতিনিধি,, ঢাকা,, ৭ জানুয়ারি,,
বিরোধীদলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট এবং সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে টানটান উত্তেজনায় রবিবার সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশে চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোট প্রক্রিয়া চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। মোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে একটি কেন্দ্রে প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ২৯৯টি কেন্দ্রে এক যোগে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে রবিবার। বাংলাদেশের মোট ২৮ টি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৯৬৯ জন। ভোটকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্তভাবে হট্টগোলের খবর থাকলেও দুপুরে খবর লেখা পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া ঠিকঠাক চলছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। রবিবার সকাল ৮টায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলও তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ভোটদিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন “নির্বাচন আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি এজন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। “
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, “ভোটারের উপস্থিতি কম নাকি বেশি সেগুলোর আমি কিছুই জানি না। আমি এসে আমার ভোটটা দিয়ে গেলাম। “ইসি”-র কাজ হচ্ছে ভোট আয়োজন করা।” প্রসঙ্গত ভোটের আগে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের নানা প্রান্ত। হাসিনা সরকারের তত্ত্বাবধানে কোনও নির্বাচনে অংশ না-নেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি, জামাত-এ-ইসলামি, বাম জোটের মতো বিরোধী শিবির। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করেই শাসকদল আওয়ামী লীগ ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে। যাতে করে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়। শেষ বেলার নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশে খুন হয়েছেন তিন জন। শনিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল। এই ধর্মঘট চলবে সোমবার পর্যন্ত। ধর্মঘটকে পাশ কাটিয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টানটান উত্তেজনায় চলছে নির্বাচন। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেন, ‘‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল, বাংলাদেশের মানুষ তাদের হরতালের তালে নাচে না।’’ সেনাবাহিনী নামিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ নৌকার দলকে ফের ক্ষমতায় আনবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদী রয়েছেন।
Recent Comments