প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৫ ডিসেম্বর,,
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন এবং ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা নিয়ে এবার মাঠে নামল আগরতলার গাউছিয়া সমিতি। রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন গাউছিয়া সমিতি এদিন বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনারের উদ্দেশ্যে একটি ডেপুটেশন পত্র তুলে দেয় পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের কাছে। গাউছিয়া সমিতি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করা সহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার ভিডিওর পষ্টিকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে। গাউছিয়া সমিতির সভাপতি আব্দুল বারিকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এদিন পশ্চিম জেলা শাসকের অফিসে যান এবং বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনারের উদ্দেশ্যে তিন দফা দাবি পত্র তুলে দেন।
(ভিডিও দেখতে প্লে বাটনে ক্লিক করে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন)
দাবি পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে “আমরা আগরতলা গাউছিয়া সমিতি অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে বিগত কয়েক মাস যাবত বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থির রয়েছে। সেখানে সনাতনী হিন্দু সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নির্যাতন হচ্ছে। তাদের বাড়িঘরে হামলা এবং সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের কিছু ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক এবং নিন্দনীয়। একইভাবে বাংলাদেশের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেইটে ভারতের জাতীয় পতাকাকে পদদলিত করার একাধিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল রয়েছে। ভারতীয় হিসেবে আমাদের জাতীয় পতাকাকে এভাবে অবমাননা করার ভিডিও আমাদের জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং বিবেকের ধ্বংশন। আমরা কোনভাবেই আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা মেনে নিতে পারি না। তাই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের (ভারতের) সুস্থ নাগরিক এবং সামাজিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমরা গাউছিয়া সমিতির পক্ষে অবিলম্বে এই সমস্ত ঘটনার প্রতিকার চাইছি। “গাউছিয়া সমিতি বাংলাদেশ সরকারের কাছে মোট তিন দফা দাবি পেশ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ১ / ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার অবমাননা বন্ধ করতে হবে এবং সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার ভিডিওর পষ্টিকরণ দিতে হবে।২/ বাংলাদেশের সনাতনী হিন্দু সহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।৩/ ধর্মীয় সংখ্যালঘু গুরুদের অবমাননা বন্ধ করতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশনের অফিসে ডেপুটেশন প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে খবর। তাই গাউছিয়া সমিতি সেদিন বাংলাদেশ ভিসা অফিসে না গিয়ে ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের কাছে এই ডেপুটেশন প্রদান করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সংখ্যা লঘু সংগঠনের এই পদক্ষেপ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত রয়েছে।
Recent Comments