ফাহিম আহমেদ,,, বিশালগড়,,৩ অক্টোবর,,,
কোন বেসরকারি ফার্মেসিতে নয়, খোদ একটি সরকারি হাসপাতালে মিলল মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ! মঙ্গলবার এই ঘটনা ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । ঘটনার বিবরণে জানা যায় সবিস দেববর্মা নামে এক ব্যক্তি জ্রেব আক্রান্ত হয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গিয়েছিলেন। জ্বরের জন্য এজিথ্রোমাইসিন নামক একটি এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেই ওষুধটি রোগীকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল ঔষধের মেয়াদ অনেক আগে চলে গেলেও কারোর কোন নজর ছিল না ।ফলে সিস্টার ইনচার্জও মনের আনন্দে ওই ঔষধ দিয়ে দেন রোগীকে। রোগীর এক নিকট আত্মীয় ওই ওষুধটি সহ প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে স্থানীয় এক ঔষধের দোকানে যান অন্য একটি ঔষধ কিনে আনার জন্য।তখনই বিষয়টি নজরে আসে ওষুধের দোকান মালিকের। এরই মধ্যে রোগীও ঐ ঔষধ সহ বাড়ি চলে যান। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাটি সাংবাদিকদের নজরে আসার পরে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ইনচার্জ পারমিতা বিশ্বাস ওই এলাকার মাল্টিপারপাস ওয়ার্কার বিরজিৎ সেনকে নির্দেশ দেন ওষুধটি তুলে আনার জন্য।সাংবাদিকরা ওই রোগীর বাড়িতে পৌঁছার ৩০ মিনিট আগেই এমপিডব্লিউ ওয়ার্কার ওই এক্সপায়ারি ওষুধটি নিয়ে চলে আসে। তাহলে কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে? একটি সরকারি হাসপাতালে এইভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখা হচ্ছে অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের কোন নজর নেই। কোন রোগী মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহার করলে মৃত্যু প্রজন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে হয়তো সেই কথা ভুলে গিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা এবং ড্রাগ কন্ট্রোলারের আধিকারিকরা মাঝেমধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধের বিরুদ্ধে অভিযানে নামতে লক্ষ্য করা যায় কিন্তু এবার খুদ মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধের ছড়াছড়ি তাহলে এবার রাজ্যর স্বাস্থ্য দপ্তর এবং ড্রাগ কন্ট্রোলারের আধিকারিকরা কি কোন পদক্ষেপ নেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের বিরুদ্ধে?
Recent Comments