প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,,১৩ জুলাই,,
রবিবার ১৪ জুলাই থেকে খয়েরপুর পুরাতন আগরতলায় শুরু হলো রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী খার্চি পূজা এবং প্রদর্শনী। এদিন হাবেলি কৃষ্ণমালা মঞ্চে সাত দিনব্যাপী খার্চি উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন খার্চি পূজা এবং মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক তথা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, অমিত নন্দী সহ অন্যান্যরা।
মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে রাজ্যের জাতি উপজাতির মিলন উৎসবের সাফল্য কামনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই ধরনের ঐতিহ্যবাহী পূজা এবং অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বুঝা যায় ত্রিপুরার রাজন্যবর্গ প্রকৃতির পূজারী ছিলেন। তিনি উৎসবকে কেন্দ্র করে কমিটির উদ্যোগে সবুজায়নের বার্তার প্রশংসা করেন। মেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রতন চক্রবর্তী খার্চি পূজার ইতিহাস তুলে ধরেন। এবছর খার্চি উৎসবে অন্যান্য বছরে তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া বলেন একসময় নেপালের পর বিশ্বের মধ্যে ত্রিপুরাই হিন্দু রাষ্ট্র ছিল। ত্রিপুরার রাজারা বহু দেশ ঘুরে সাড়ে ৫০০ বছর আগে থেকেই সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেন অনেকে দুর্গাপূজাকে বাঙালি উৎসব বলে আলাদা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। ১৫০ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজার সূচনা হয়েছিল। অথচ সাড়ে ৫০০ বছর আগেই ত্রিপুরায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির তৈরি হয়েছিল। ত্রিপুরার জনজাতিরা সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিধায়ক জমাতিয়া বলেন গত ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে থেকে ত্রিপুরাতে সাম্প্রদায়িক বিভেদ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। হিন্দু সনাতনীদের থেকে উপজাতিদের অনুষ্ঠান আলাদা করে দেখানো হচ্ছে। এর পেছনে বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি জাতি উপজাতির মেল বন্ধনের কথা বলেন এবং সম্প্রতি গন্ডাছড়ার ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী ১৪ দেবতা মন্দিরে গিয়ে পূজা দেন। প্রসঙ্গত এ বছর মেলা কমিটি দর্শনার্থীদের ১৫ হাজার চারা গাছ বিতরণ করবে। সাত দিনব্যাপী উৎসবের প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
Recent Comments