Monday, December 23, 2024
Google search engine
Homeত্রিপুরার খবরজেলার খবরত্রিপুরায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না কোন রাজনৈতিক দল ! সরকার গঠন করতে...

ত্রিপুরায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না কোন রাজনৈতিক দল ! সরকার গঠন করতে পারে সিপিআইএম ,,, জোট।

North East প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,,২৭ফেব্রুয়ারি,,,

মাঝে আর মাত্র দুই দিনের অপেক্ষা। ২ মার্চ ঘোষিত হতে চলছে ত্রিপুরার ১৩তম বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। কোন রাজনৈতিক দল গণদেবতার আশীর্বাদ নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে তা নিয়েই চর্চা চলছে সর্বত্র। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা নিজেদের মতো করে হিসেব মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন ক্ষমতা দখলের সম্ভাব্য অংক রাশিতে পৌঁছা যায় কিনা।

রাজনৈতিক দলগুলোও ভোট গণনার শেষপর্যন্ত কর্মীদের মনোবল ধরে রাখার জন্য বাস্তব হিসেবের ঊর্ধ্বে উঠে নিশ্চিত জয়ের আশারবাণী শোনাচ্ছেন কর্মী-সমর্থকদের। শাসক দল বিজেপি একদিকে যেমন প্রত্যাবর্তনের কথা বলছে। তেমনি রাজ্যে বিজেপির পরাজয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করছে বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিআইএম এবং কংগ্রেস।

একইভাবে সরকার গঠনে ‘কিং মেকার’ হওয়ার দৃঢ়তা নিয়ে বসে আছে ‘রিয়েল কিং’ তথা মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের দল তিপরা মথা। ফলাফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের জয় তথা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।

কিন্তু বাস্তবে কি হতে পারে ত্রিপুরার ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল? তা নিয়ে দেশীয় স্তরের কিছু সমীক্ষা সংস্থা ইতিমধ্যেই নিজেদের রিপোর্ট তৈরি করেছে। ১০০% নিশ্চিত না হলেও একাংশ সমীক্ষার রিপোর্টে ফলাফলের সম্ভাব্য হিসেব উঠে আসতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের বিধি-নিষেধ মেনে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারীর পর ত্রিপুরা নির্বাচন ফলাফল নিয়ে ‘এক্সিট পোল’ তথা সমীক্ষার রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।

গোপন সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া একাংশ সমীক্ষক দলের তথ্য এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে “North East প্রতিধ্বনি”- র এই প্রতিবেদন। তবে এই প্রতিবেদন কোনভাবেই এক্সিট পোলো কিংবা সমীক্ষা নয়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে আমরা ২৭ তারিখের পরে আমাদের ‘এক্সিট পোল’ তথা সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত করব।

আগামী দিনের ফলাফলের কোন রাজনৈতিক দলই একটা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার সম্ভাবনা কম। সূত্রের দাবি ৬০ বিধানসভা আসনের ত্রিপুরায় এবার নাগরিকদের ভোট মূলত চারটি রাজনৈতিক দল যথাক্রমে বিজেপি, সিপিআইএম (একটি নির্দল সিট সহ), কংগ্রেস এবং তিপরামথা দলের মধ্যে বিভক্ত হয়ে গেছে। উপজাতি অধ্যুষিত ২০টি আসনের মধ্যে একছত্র আধিপত্য থাকতে পারে মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপরামথার। তিপরা মথাও ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫টি পর্যন্ত আসন পেতে পারে বলে তথ্য বিজ্ঞ মহলের দাবি। অন্যদিকে শাসক দল বিজেপি সম সংখ্যক অর্থাৎ ১২ থেকে ১৫ কিংবা সর্বোচ্চ ১৮ টি আসন পেতে পারে। সূত্রের এটাও দাবি বিজেপি এবার কোনভাবেই ত্রিপুরায় তাদের সরকার গড়তে পারবে না। আগামী দিনের ফলাফলে সর্বশেষ হাসি হাসতে পারে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস জোট। বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী বিধানসভা নির্বাচনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সর্বাধিক আসন পেতে পারে সিপিআইএম। বাম ঘড়ানার নির্দল প্রার্থী পুরুষোত্তম রায় বর্মনের রামনগর আসন সহ সিপিআইএম ২৫ থেকে ২৮ টি আসন পেতে পারে। অন্যদিকে কংগ্রেস পেতে পারে ৬ থেকে ৯টি আসন। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই সিপিআইএম এবং কংগ্রেস জোট আগামী দিনে সরকার গড়তে পারে বলে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের আরও দাবি কংগ্রেস কিংবা সিপিআইএম উল্লেখিত সম্ভাব্য আসন গুলোর নিচে নেমে আসলেও বিজেপি ত্রিপুরায় এবার দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। কেননা তিপরা মথার সুপ্রিমো মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন বিজেপির পরিবর্তে সিপিআইএমের সাথেই জোট করে বিরোধীদের সরকার গঠনে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী করা সহ নির্দিষ্ট কিছু শর্তে সমঝোতা হতে পারে সিপিআইএম এবং তিপরা মথার। এই অবস্থায় ২৪-এ লোকসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় শাসকদল বিজেপি নিশ্চিত রূপে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে চলছে বলেই রাজনৈতিক তথ্যবিজ্ঞ মহলের অভিমত।

২৭ ফেব্রুয়ারির পর “North East প্রতিধ্বনি ” তে ২০২৩ এর ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে নির্ভরযোগ্য সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। সমীক্ষার ফলাফল দেখতে অবশ্যই নিয়মিত এই ওয়েব পোর্টালের সঙ্গে থেকে সহযোগিতা করার আবেদন রইলো।

Desk Northeast Pratidhoni
Desk Northeast Pratidhoni
NorthEastPratidhoni, office: Khaja Manzil, Laddu chowmoni, West noabadi, Agartala, Tripura , India.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments