প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৩ সেপ্টেম্বর,,
দীর্ঘদিন বাদে সোমবার রাজধানীতে সারা জাগানো দলীয় কর্মসূচি পালন করল ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের নবনিযুক্ত ইনচার্জ ক্রিস্টোফার তিলকের নেতৃত্বে প্রাক্তন সভাপতি বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা থেকে শুরু করে সি ডব্লিউ সি সদস্য বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, বিধায়ক গোপাল রায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা সহ সমস্ত গোষ্ঠীর নেতৃত্ব একসঙ্গে এদিন মাঠে নেমে বিজেপি সরকারের দুর্বল পুলিশ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হয়। আইনশৃঙ্খলা অবনতি ইস্যুতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে প্রদেশ কংগ্রেস এদিন পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাও করে। কংগ্রেস ভবন থেকে মিছিল করে শত শত কর্মী সমর্থক শহর দাপিয়ে ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনীতে গিয়ে পৌঁছায়। পুলিশ সেখানে একাধিক ব্যারিকেট তৈরি করে কংগ্রেসের মিছিলকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কংগ্রেসের উত্তাল মিছিলকে রুখতে ব্যর্থ হয় পুলিশ প্রশাসন। ব্যারিকেড ডিঙিয়ে গিয়ে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে গিয়ে সদর গেটের সামনে ঘেরাও করে বসে যান।
দীর্ঘক্ষণ সেখানে ঘেরাও চলে। সূত্রের খবর কংগ্রেসের এই ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতরে আটকে পড়েন ডিজিপি সহ একাধিক পুলিশের আধিকারিক। সেখানেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেদের বক্তব্য রাখেন। কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফায়ার সার্ভিস চৌমুনীর চারদিকে কিছুটা সময়ের জন্য যান চলাচল থমকে যায়। কংগ্রেস নেতৃত্ব বর্তমান সময়ে রাজ্যে খুন, নারী ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনা থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর আক্রমণের ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশের দুর্বল ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন। যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব স্লোগান তোলেন “পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, বিজেপির ঝান্ডা ধরো।” কংগ্রেসের এদিনের কর্মসূচিতে রাজ্যের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের ব্যাপক সমর্থন লক্ষ্য করা গেছে। শাসক দলের এক তরফা রাজনীতিতে লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত একটা অংশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। সোমবার আগরতলার রাজপথে কংগ্রেসের সাড়া জাগানো প্রতিবাদ কর্মসূচি রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী দলের শক্তির জানান দিয়েছে। অন্যদিকে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা উন্নত না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Recent Comments