Thursday, December 26, 2024
Google search engine
Homeজাতীয় খবরকেন্দ্রীয় মন্ত্রী নয়, মুখ্যমন্ত্রী পদেই গুরুত্ব বিপ্লবের; নতুন জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নয়, মুখ্যমন্ত্রী পদেই গুরুত্ব বিপ্লবের; নতুন জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১০ জুন,,

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নয় বরং পুনরায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ! পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে সাড়ে ৬ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভের পর বিপ্লব কুমার দেব পুনরায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অভিব্যক্তি করেছেন বলে কিছু জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমে খবর উঠে এসেছে। এই খবর জানাজানি হওয়ার পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো অস্থিরতা তৈরি হয়ে গেছে। কারণ ২০১৮ সালে ত্রিপুরার ২৫ বছরের বামফ্রন্ট শাসনকে প্রতিহত করে বিজেপি সরকার গঠনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার একটা অংশের জনগণের জন্য তিনি “মুক্তিদাতা” হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পর তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে আগরতলা শহরে ‘স্মার্ট সিটি প্রকল্প’ সহ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে একাধিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের কাছে ছুটে গিয়ে রাজ্যের উন্নয়নে তিনি অর্থ বরাদ্দ করে আনতেন। আগরতলার লাইট হাউস প্রকল্প, হাওড়া নদী তীর উন্নয়ন প্রকল্প, উদয়পুর মাতাবাড়ি সৌন্দর্যায়ন সহ রাজ্যের পর্যটন, সড়ক, রেল , এবং বিমান পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিপ্লব দেবের সময়কালেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। কিন্তু তারপরও আভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চার বছর বাদে ২০২২ সালের মে মাসে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। তার নেতৃত্বে শুরু হওয়া রাজ্যের বহু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ তখন অসমাপ্ত থেকে যায়। বিপ্লব দেবের পছন্দেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল তৎকালীন দলের প্রদেশ সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহাকে।

(ফাইল ছবি ২০২২ সালে বিপ্লব দেবের পরিবর্তে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার পর)

তারপর থেকে গত দুই বছর যাবত অধ্যাপক ডক্টর মানিক সাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে পরবর্তীকালে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পছন্দের পাত্র হিসেবে বিপ্লব দেবকে পুনরায় ত্রিপুরাতে পাঠানো হয় পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী করে। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী হয়ে ৬ লক্ষ ১১ হাজারের অধিক ভোটে প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের আশীষ কুমার সাহাকে পরাজিত করেন বিপ্লব কুমার দেব। জয়ের পর সাংসদ বিপ্লব দেব একটি সাক্ষাৎকারে বলেন ত্রিপুরার জনগণ চাইছে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি যে কাজগুলো শুরু করেছিলেন তার শেষ দেখতে। তাই তারা পুনরায় তাকে বিপুল সমর্থন দিয়েছেন।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের বক্তব্যের পর ফের একবার দেশীয় রাজনীতিতে বিপ্লব দেবের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ধারণা ছিল বিপ্লব দেবকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে। কিন্তু মন্ত্রিসভায় গঠনের আগে গত ৬ জুন জাতীয় একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিপ্লব কুমার দেব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরিবর্তে রাজ্যের রাজনীতিতে থাকতে বেশি পছন্দ করেন বলে জানিয়ে দেন। সূত্রের দাবি সংবাদ সংস্থার সাথে কথা বলতে গিয়ে বিপ্লব কুমার দেব বলেন ” একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেন। কিন্তু একজন মুখ্যমন্ত্রী একটি রাজ্যের প্রধান। আমি রাজ্যের রাজনীতিতে ফিরতে পছন্দ করি। তবে সেটা অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর মর্যাদার নিচে নয়। আমি রাজ্যে সরকার প্রধান হিসাবে কাজ করেছি, একজন মন্ত্রী হিসেবে নয় ।” তবে এক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত মান্য বলে তিনি জানিয়ে দেন।

(৬ জুন জাতীয় স্তরে বিপ্লব দেবের সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের কিছু অংশ)

ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিপ্লব দেবের সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়টি উঠে এসেছে। তারপরই শুরু হয়ে গেছে নানা ধরনের জল্পনা। যদিও এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের ব্যাপারে কোন ধরনের রাজনৈতিক কিংবা সরকারি খবর নেই।

Desk Northeast Pratidhoni
Desk Northeast Pratidhoni
NorthEastPratidhoni, office: Khaja Manzil, Laddu chowmoni, West noabadi, Agartala, Tripura , India.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments