আগরতলা,, ২৪জুলাই,,
কেন্দ্রীয় বাজেট আর যাই হোক তা ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য হয়নি। কৃষকদের ক্ষতি করার জন্য করা হয়েছে এই বাজেট। বাজেট নিয়ে সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র করের। আজ কৃষকসভার সর্বভারতীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে গত ৭ জুন ছত্তিশগড়ে তিনজন গোপালককে হত্যা করার বিরুদ্ধে ছিল প্রতিবাদ সমাবেশ।ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর পরিক্রমা করে শকুন্তলা রোডে নারায়ণ দেবের সভাপতিত্ব এক সভায় মিলিত হয়।সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ২০২৪ -২৫ এর কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে ঐ মন্তব্য করে বলেন। নরেন্দ্র মোদি সরকার তাঁর সময়ে এবারই সবচেয়ে কম টাকা এই বাজেটে বরাদ্দ করেছে।তিনি বলেন ২২সালে ছিল ৩.৭০ লাখ কোটি টাকা, ২৩ সালে ৩.৩৬লাখ কোটি ২৪ সালে ২.৭৮ লাখ কোটিটাকা আর এবার ১.৫২ লাখ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।তিনি বলেন ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা তো হলোই না ঋন মকুব হলো না শুধু কৃষকদের জন্য গবেষণা এলো, হাস্যকর। বেকারদের নিয়ে তামাশা করা হয়েছে। এক কোটি ছেলে মেয়ের চাকরি না দিয়ে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে যে কোম্পানিতে ট্রেনিং নেবে সেখানে মাসে পাঁচ হাজারটাকা দেওয়া হবে সেটা সরকার দেবে আর কোম্পানি গুলো নিজেদের উৎপাদনে শ্রমিক পাবে বিনে পয়সায়।এই হল বাজেট। আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ প্রসঙ্গে পবিত্র কর বলেন -তৃতীয় দফায় বসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের ধোঁকা দেয়ার পথেই হাঁটতে শুরু করেছিলেন কিষান নিধি ফাইলে স্বাক্ষর করে।একই সাথে ঐ ঘটনার দু দিন আগে সংখ্যালঘু গো পরিবহনকারী শ্রমিকদের খুন করে দেশের ভবিষ্যতের জন্য ‘সাবধান বাণী’ যেন শুনিয়ে দিয়েছিল রাষ্ট্রবাদী সন্ত্রাসীরা।দুটো ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পবিত্র কর বলেন, শপথের আগের দিন দুজন গো পরিবহনকারী শ্রমিককে খুন করে বিজয় উৎসব করেছে রাষ্ট্রবাদী সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটা ঘটেছিল ছত্তিশগড়ের মহমুদ- রায়পুর সীমান্তের মহানদী সেতুর ওপর।তিনিবলেন অন্যান্য সময়ের মত সেদিন ভোর তিনটে নাগাদ তিন গো পরিবহনকারী তেহসিন কুরেশি, চাঁদ খান ও সাদ্দাম কুরেশি গরু নিয়ে ওড়িশার দিকে যাচ্ছিল। মহানদী সেতুর ওপর ত্রিশ জন রাষ্ট্রবাদী সন্ত্রাসীরা পেরেক ঠুকে গাড়ীটা আটকায় এরপর ট্রাকের চালক তেহসিনকে নামিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে সেতুর ওপর থেকে ত্রিশ ফুট নিচে পাথরের ওপর ফেলে হত্যা করে।চাঁদকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয় পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।অন্যজন সাদ্দাম এখন আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়ছে। পবিত্র কর বলেন সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি এই জঘন্য হত্যাকান্ডের নিন্দা করছে।তিনি বলেন অদ্ভুত ভাবে ছত্তিশগড়ের পুলিশ অত্যন্ত লঘু ধারা ৩০৪ ও ৩০৭ ধারায় মামলা নিয়েছে।সারা ভারত কৃষক সভা এর সাথে ৩০২ ধারা যুক্ত করে খুনিদের বিরুদ্ধে কঠোর দৃষ্টান্তস্থাপনকারী শাস্তি প্রদানের জন্য ছত্তিশগড়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার কাছে দাবি জানিয়েছে। তা নাহলে সরকারকে তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়তে হবে বলে পবিত্র কর হুঁশিয়ারি দেন। রাজ্য কৃষক সভার সহ সম্পাদক রতন দাস বলেন আর এস এস ও বিজেপি হিন্দু ধর্মের বড় শত্রু।এই ধর্মের গুরুত্ব না বুঝে ওরা ধর্মকে ভোটের কাজে ব্যবহার করে চলেছে। গোরু ব্যবসায়ীদের খুনিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের শাস্তি দাবি করেন। এক্সপ্রেস বিবৃতিতে এই বিষয়টি জানিয়েছেন সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র করে।
Recent Comments