সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,৪ ডিসেম্বর,,
রবিবার রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পেয়েছে বিজেপি। অভিযোগ লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের তিন বড় রাজ্যে নিজেদের জয়ের আনন্দে বেসামাল হয়ে উঠেছেন রাজ্যে শাসক দলের একাংশ। বহিরাজ্যে জয়ের আনন্দে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে আগরতলায় । রবিবার রাতে আগরতলায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র বড়দোয়ালিতে এক প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা বর্তমান কংগ্রেস নেতার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘটনা সংগঠিত হয়। অভিযোগ রাতের অন্ধকারে মাথায় হেলমেট পড়ে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়ে মহারাজগঞ্জ বাজারের লালমাটিয়া বিপণী বিতানে বিশ্বজিৎ বণিকের দোকানে। দোকানে ভাঙচুর হয় এবং ওই সময় দোকানে থাকা কয়েকজনকে প্রচন্ড মারধর করা হয়।
(হামলার ঘটনার সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও দেখতে ইউটিউব লিংকে ক্লিক করুন)
বিশ্বজিৎ বণিকের বাড়ি রামঠাকুর সংঘ এলাকায়। তিনি একসময় বিজেপি বনমালীপুর মন্ডলের পদাধিকারী ছিলেন। পরবর্তীকালে বিজেপি দল ছেড়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। অভিযোগ অনেক দিন যাবতই বিশ্বজিৎ বণিকের উপর শাসক দল থেকে রাজনৈতিক হুমকি ধমকি আসছিল।
গতকাল তিন রাজ্যে জয়ের পর শাসকদলের উশৃংখল বাহিনী সুযোগ বুঝে তার দোকানে হামলা করে। বিশ্বজিৎ বণিক ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পূর্ব আগরতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে নামমাত্র তদন্ত করলেও সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


আরো অভিযোগ শাসক দলের একাংশ চক্রান্ত করে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর স্বচ্ছ ইমেজকে নষ্ট করতে চাইছে। স্ব-দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পরিকল্পিতভাবে রাজ্যে সক্রিয় করা হয়েছে বাইক বাহিনী ,হেলমেট বাহিনী এবং গাড়ি বাহিনীকে। এইসব বাহিনী রাতের অন্ধকারে উশৃংখলতা করছে । নানা কায়দায় হামলা হচ্ছে বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের উপর । অস্থিরতা তৈরি করে রাজ্যের আইনের শাসনকে দুর্বল দেখিয়ে স্বরাষ্ট্র তথা মুখ্যমন্ত্রীকে বদনাম করা-ই সেই উশৃংখল বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য। বেশ কয়েকদিন যাবত রাত ঘনিয়ে আসতেই আগরতলা শহরে উশৃংখলতা করছে এসব বাহিনী। পুলিশ কেন তাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
Recent Comments