মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মিছিল করে উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল। জয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র ! দাবি তফাজ্জলের।

সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,,১৭ আগস্ট,,

মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জনসমুদ্রের ঢেউ নিয়ে উপ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করলেন সোনামুড়া মহকুমার দুই বিজেপি প্রার্থী। দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্য সদস্য এবং একাধিক নেতা বিধায়করা উপস্থিত হন সোনামুড়াতে। এর আগেই বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন এবং ধনপুর কেন্দ্রের প্রার্থী বিন্দু দেবনাথের মনোনয়নপত্র দাখিলের উদ্দেশ্যে একটি বাইক মিছিল বের হয়ে যায়। মিছিলের সামনে সুসজ্জিত গাড়িতে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন এবং বিন্দু দেবনাথ। ব্যাপক সমর্থন নিয়ে সোনামুড়া মহকুমার প্রায় ২৩ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মিছিল করেন বিজেপি প্রার্থীরা। পরে হাসপাতাল রোড থেকে সেই মিছিলে শামিল হন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা সহ মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য – সদস্যা এবং দলীয় নেতৃত্ব। সেখান থেকে মিছিলটি পায়ে হেঁটে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে পর্যন্ত পৌঁছায়।

পরবর্তীকালে মহাকুমা শাসকের অফিসে গিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন দাখিল করেন বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন এবং ধনপুরের বিন্দু দেবনাথ।সাংবাদিকদের সামনে নিজের প্রতিক্রিয়া জাহির করতে গিয়ে বক্সনগর কেন্দ্রের প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন জয় নিয়ে ১০০% নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন সিপিআইএম কংগ্রেস শুধুমাত্র গুজব রটানো এবং ‘আইয়া পড়ছি ‘ রব তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সব সোনামুড়া মহাকুমার মানুষ বুঝে গেছেন প্রকৃত উন্নয়ন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা ই করে দেখাতে পারছেন। তাই ধনপুরের পাশাপাশি এবার বক্সনগরের বৃহৎ অংশের মানুষও বিজেপির প্রতি ভরসা রাখবে এবং দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের একাংশ বুথে সিপিআইএমের জামানত জব্দ হবে বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে বিজেপি প্রার্থীর এই দাবির বাইরে এদিন মনোনয়ন দাখিলের মিছিলে বিপুল জনসমর্থনের মধ্যে দিয়ে নাগরিক মহল তাদের রায় তুলে ধরেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।

সোনামুড়া মহকুমার বুদ্ধিজীবী অংশের নাগরিকদের ধারণা দুটি আসনেই সিপিআইএম প্রার্থীরা পরাজিত হবে। সিপিআইএম দীর্ঘ বছর যাবত সংখ্যালঘু ভোটারদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের ভোট ব্যাংক করে রেখে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। মানুষ এখন শিক্ষিত হয়েছে এবং নিজের ভালো-মন্দ বুঝতে পারে। বিজেপি সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশের নীতিতে যেভাবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে পাকা ঘর, বিদ্যুৎ,জল, ভাতা এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তাতে মানুষজন জীবন ধারণের নতুন পথ খুঁজে পেয়েছেন। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সোনামুড়া মহকুমাতে এখন বেকার যুবকদের চাকরির হার বেড়েছে। কোন ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে যুবকরা চাকরি পাচ্ছে। বিজেপি সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু অংশের মানুষও বুঝে গেছেন তাদের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নতি করতে পারে একমাত্র মোদি সরকার। তাছাড়া বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন ভোটে জিতে বিধায়ক হলে আগামী দিনে মন্ত্রী হবার সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। রাজ্যের আপামর সংখ্যালঘু অংশের জন্য বিজেপি মন্ত্রিসভায় একজন সংখ্যালঘু মন্ত্রী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে। তাই সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী অংশের মানুষ চাইছেন তাফাজ্জল হোসেন জয়ী হয়ে আগামী দিনে মন্ত্রী হিসেবে যাতে দায়িত্ব পান। তাই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের লক্ষ মাত্রা নিয়ে ওই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মহকুমাতে সংখ্যালঘু সহ সর্ব অংশের মানুষের ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ।