প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১ অক্টোবর,,
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের সাথে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত মেনে অবশেষে নিজেদের সশস্ত্র সংগঠন গুটিয়ে নিল কুখ্যাত বৈরী সংগঠন অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স তথা এটিটিএফ। মঙ্গলবার ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সংবিধান বাতিল করার ঘোষণা দিল এটিটিএফ সংগঠন। এটিটিএফ-র সভাপতি অলিন্দ্র দেববর্মা এবং সম্পাদক রাকেশ দেববর্মা এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য দিয়েছেন।

প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের সাথে গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পর এটিটিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে সশস্ত্র সংগঠনের সংবিধান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে এটিটিএফ-র নামে এখন কোন ধরনের সশস্ত্র সংগঠন থাকবে না। তবে এটিটিএফ একটি নতুন সংবিধান তৈরির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তিপ্রাসার স্বার্থে কাজ করবে। প্রেস বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে এই ঘোষণার পর এটিএফএ-র নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্সের নামে চাঁদাবাজি সম্পূর্ণভাবে বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে। একজন বিধায়কের মাধ্যমে এই প্রেস বিবৃতি পাওয়া গেছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য গত ৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে রাজ্যের নিষিদ্ধ বৈরী সংগঠন এন এল এফ টি এবং এটিটিএফ এর সাথে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল। ৪সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন সহ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বৈরী সংগঠনের সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করে। সেই চুক্তিতে আত্মসমর্পণ করে অস্ত্র তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সম্মত হয়েছিল বৈরী সংগঠনগুলো। পরবর্তীকালে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেই চুক্তির শর্ত মেনে আগরতলা সংলগ্ন টি এস আর সপ্তম বাহিনীর সদর কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন বিভিন্ন বৈরী সংগঠনের ৫৮৪ জন সদস্য। তুলে দেওয়া হয় প্রায় ২ শত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।

অবশেষে ১ অক্টোবর এটিটিএফ প্রেস বিবৃতি জারি সংগঠন গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। চুক্তি এবং শান্তি আলোচনার মাধ্যমে রাজ্যের কুখ্যাত বৈরী সংগঠনগুলোকে অস্তিত্বহীন করে বৈরী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর মানিক সাহার ভূমিকা দেশীয় স্থরে বিশেষভাবে প্রশংসিত রয়েছে।
Recent Comments