প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৪ই সেপ্টেম্বর,,
ভারত সরকারের সাথে সমঝোতায় মিলিত হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ত্রিপুরার বৈরী সংগঠন এনএলএফটি এবং এটিটিএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার এবং উল্লেখিত দুই বৈরী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বুধবার ৪ সেপ্টেম্বর এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রদান অনুষ্ঠান হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবেন বৈরী সংগঠনের নেতৃত্ব সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা। বুধবার বেলা আড়াইটায় দিল্লি নর্থ ব্লকে এই সমঝোতা পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানের যোগদানের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা দিল্লি চলে গেছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর এই গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা অনুষ্ঠিত হতে চলছে বলে সূত্রের দাবি।

প্রসঙ্গত রাজ্যের ইতিহাসে নিষিদ্ধ বৈরী সংগঠন এনএলএফটি এবং এটিটিএফ একটি আতঙ্কের নাম। তথাকথিত স্বাধীন ত্রিপুরা তৈরি করার নামে তারা ত্রিপুরা পুলিশ সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনেক রক্ত ঝরিয়েছে। সাধারণ মানুষকে অপহরণ, হত্যা, লুটপাট সহ রাজ্যের একজন মন্ত্রীও বৈরীদের হাতে খুন হয়েছেন।

রাজ্যের বামফ্রন্ট ক্ষমতায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নেতৃত্বে ত্রিপুরা পুলিশ এবং টিএসআর প্রথম বৈরীদের কোমর ভাঙতে শুরু করে। বৈরী সংগঠন গুলো অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। বৈরী দমনে টিএসআরের সাফল্যের জন্য তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতির কালারস পদক পেয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ।
তখন থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে বৈরী দলের সদস্যরা জঙ্গল জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করে। কিন্তু তারপরও সেই বৈরী সংগঠন গুলো গুটিয়ে যায়নি। মাঝেমধ্যেই সুযোগ বুঝে তাদের বৈরী কার্যকলাপ জারি ছিল। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উগ্রবাদ ,সহিংসতা এবং সংঘাত মুক্ত উন্নত উত্তর-পূর্বের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গ হিসেবে মোদী সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেই বৈরী সংগঠন গুলো সমঝোতায় এগিয়ে আসে। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে সরকার উত্তর-পূর্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করছে, এর মধ্যে ৩টি ত্রিপুরার সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে। এই সমঝোতা চুক্তি দেশের উত্তর-পূর্বের জন্য একটি নতুন মাইলস্টোন হতে পারে বলে তথ্য বিজ্ঞ মহলের দাবি।
Recent Comments