প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৯ আগস্ট,,
রবিবার দুর্গানগরে একটি কালী মূর্তির মাথা ভাঙচুরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গণহারে হামলা হয়েছিল স্থানীয় মুসলিম বাড়ি ঘরে। ১৯ টি মুসলিম বাড়িতে গণহারে লুটপাট ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৬ মাসের শিশু সন্তান সহ পেটানো হয়েছিল ৮০ বছরের বৃদ্ধকে। নৃশংসভাবে গরু, হাঁস ,মোরগ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হামলার ঘটনায় সর্বস্বান্ত মুসলিম পরিবারের লোকেরা এখনো প্রশাসনের শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। রবিবারের ঘটনার চারদিন বাদে বুধবার ঘটনার সাথে যুক্ত ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রানীবাজার থানার পুলিশ। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার ফের মাঠে নামল স্থানীয় হিন্দু নাগরিকদের একাংশ। রানির বাজারে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় বৃহস্পতিবার সকালে। টানা কয়েক ঘন্টা রাস্তা অবরোধ রেখে পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্তদের বিনা শর্তে মুক্তির দাবি উঠে। চলে স্লোগান এবং নানা ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য। পুলিশ এবং টিএসআর ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও তারা অবরোধকারীদের মুক্ত করতে পারেনি। কয়েক ঘন্টা অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার যানবাহন আটকে পড়ে। পরে সেখানে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি অবরোধকারীদের নিজেদের দলের লোক হিসেবে সম্বোধন করে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তাদেরকে আশ্বস্ত করেন তিনি আইনিভাবে ধৃতদের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। মন্ত্রীর চেষ্টার পর অবরোধ মুক্ত হয়।
এদিনের জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে সাধারণ যাত্রী সহ যানবাহন চালকরা দুর্বিষহ যন্ত্রণায় পড়েন। এন আই টি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকে পরে অনেকে বাড়ি ফিরে আসেন। সামাজিক হিংসায় জড়িত পুলিশের খাতায় অভিযুক্তদের ছাড়িয়ে নিতে এই ধরনের অবরোধে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক মহালে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
Recent Comments