প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৩ আগস্ট,,
১২ জুলাই রাতে গন্ডাছড়ায় হিংসাত্মক হামলার ঘটনার পর এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন তিপড়া মথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার অভিযোগ গন্ডাছড়া সহ ত্রিপুরার একাধিক এডিসি এলাকায় বাংলাদেশ চট্টগ্রাম এবং বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ভিড় বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে আগত পাহাড়ি অনুপ্রবেশকারীদের একটা অংশ অবৈধভাবে নথিপত্র তৈরি করে রাজ্যের এডিসি এলাকার ভূমি দখল করে নিচ্ছে। ধ্বংস করছে বন জঙ্গল। তাদের মধ্যে একটা অংশই গন্ডাছড়ায় ১২ জুলাই রাতে হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক সীমান্ত বেষ্টিত ত্রিপুরায় বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে লিখিত দাবী তুলেছেন মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। দাবি তুলেছেন ত্রিপুরার এডিসি এলাকায় বসবাসকারী অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয় সনাক্ত করতে বিশেষ কমিটি গঠনের। বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শনিবার ৩ আগস্ট দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি ত্রিপুরা হয়ে ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রঞ্জিত দেববর্মা লিখেছেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য পার্বত্য এলাকা থেকে পাহাড়ি জনজাতিদের একাংশ ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ করছে। ত্রিপুরা সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা অবৈধভাবে গন্ডাছড়া, বীরচন্দ্র মনু, নারিকেল কুঞ্জ, করবুক, শিলাছড়ি প্রভৃতি এ ডি সি এলাকায় ঢুকে পড়ছে। সেসব স্থানে তারা অবৈধভাবে বনজ সম্পদ ধ্বংস করে বাড়িঘর তৈরি করছে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন উপায়ে সরকারের কাছ থেকে পাট্টা নিয়ে নিচ্ছে।
এই ধরনের অনুপ্রবেশের ঘটনাকে দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য উদ্বেগজনক বলে দাবি করেছেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি তুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের কায়দায় ত্রিপুরাতেও যাতে নাগরিকদের পরিচয় সনাক্তকরণের জন্য বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়। অবিলম্বে যাতে এডিসি এলাকার অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা এখনো দিল্লিতে রয়েছেন। এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে তিনি গন্ডাছড়া ইস্যুতেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন। প্রতিবেদকের প্রশ্নে তিনি বলেন সম্প্রতি ‘গন্ডাছড়ার ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে আগত উপজাতি অনুপ্রবেশকারীরা বাড়িঘরে হামলা এবং লুটপাট করতে পারে।’ এই প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য গন্ডাছড়ার হামলার ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালি অংশের নাগরিকরা বলেছিলেন দীর্ঘ বছরের ইতিহাসে তারা এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা দেখেননি। যেভাবে গবাদি পশু গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে এবং লুটপাট হয়েছে সেসব ঘটনায় স্থানীয় উপজাতির পরিবর্তে বহিরাগতদের একটি হিংস্র অংশ জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার তিপরা মথা বিধায়কের অভিযোগের পর বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারী উপজাতি গোষ্ঠীর দ্বারা গন্ডাছড়ায় হামলার ঘটনার তথ্য রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তক্রমে অবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে স্বাস্থ্যের দাবি তুলেছেন শান্তিপ্রিয় জাতি- উপজাতির মানুষ।
Recent Comments