প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১২ জুলাই,,
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রাজ্যজুড়ে শাসক দলের নেতৃত্বে ভয়াবহ সন্ত্রাস শুরু হলেও স্বভাবসুলভভাবেই ভূমিকাহীন রয়েছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় শুক্রবার সন্ত্রাসের ভয়াবহ রূপ দেখল বিশালগড়। বিধায়ক সুশান্ত দেবের বিশালগড় এদিন রাজনৈতিক সন্ত্রাসে রীতিমতো অশান্ত হয়ে উঠে। সকাল থেকেই দফায় দফায় কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয় এবং কংগ্রেসের বাড়ি ঘরে হামলা চলে।

ছবি: উদ্বোধনের আগেই সন্ত্রাসে ভাংলো অরবিন্দ নগর কংগ্রেস পার্টি অফিস।
অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক সুশান্ত দেবের নেতৃত্বে ব্যাপক ভরাডুবির সম্ভাবনা রয়েছে শাসকদল বিজেপির। বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক দল ছেড়ে গ্রাম প্রধান সহ দলে দলে কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বিরোধী কংগ্রেস দলে। পায়ের তলায় মাটি ক্রমশ হারিয়ে যেতে দেখে অস্থির হয়ে উঠেছেন শাসকদলের নেতৃত্ব। শেষ ভরসা হিসেবে শুরু হয়েছে হামলা হুজ্জতি এবং সন্ত্রাসের রাজনীতি। এদিন বিশালগড় অরবিন্দ নগরে কংগ্রেস পার্টি অফিস উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই শাসকদলের হার্মাদ বাহিনী সেই অফিস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা জয়দেব বর্মন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার,বিশালগড় মহকুমার পুলিশ আধিকারিক ,বিশালগড় থানার ওসি সহ কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী। কিন্তু পুলিশ গিয়ে লোক দেখিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করেনি। অভিযোগ কংগ্রেস ভবন ভাঙার পর হার্মাদ বাহিনী হামলে পড়ে ঘনিয়ামারার কংগ্রেস নেতা টিটু আহমেদের বাড়িতে। সেই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চলে একযোগে ভাঙচুর। মহিলাদের শ্লীলতাহানি সহ শাসকদলের বিরুদ্ধে চরম রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ মহাকুমা পুলিশ আধিকারিকের সামনেই কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। এমনকি কংগ্রেস স্থানীয় নেতার বাড়িতে আগুন লাগানোর পর ফায়ার সার্ভিসের ইঞ্জিনকে পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি। বিশালগড়ের শান্ত নেতার নাম করে রাস্তার মাঝখানে দমকল ইঞ্জিন আটকে দেওয়া হয়েছে। এদিনের ঘটনার পর ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি রয়েছে গোটা বিশালগড় মহকুমায়। প্রশ্ন উঠেছে বিশালগড়ের শান্ত এবং ভদ্র হিসেবে পরিচয় দেওয়া বিধায়ক সুশান্ত দেবের ভূমিকা নিয়ে। এদিনের সন্ত্রাসের ঘটনায় সাধারণ নাগরিক মহলে শাসক দলের প্রতি ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এলাকার দলমত নির্বিশেষে নাগরিক সমাজ রুখে দাঁড়িয়েছেন। শুক্রবার বিশালগড়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় আগামী দিনে কংগ্রেসের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঘেরাও হতে পারে বলে সূত্রের খবর
Recent Comments