প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, সোনামুড়া ,,২৮ জুন,,
সামাজিক মাধ্যমে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করে সুবিধা নিতে চাইছে সোনামুড়া মহকুমার একাংশ পাচারকারী। চেষ্টা চলছে অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে সরব থাকা পুলিশ আধিকারিক,কাস্টমস, এবং বিএসএফ জওয়ানদের নামে কুৎসা ছড়িয়ে তাদেরকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করার। অভিযোগ পাচারকারীদের এই অপচেষ্টায় মদত রয়েছে খোদ প্রশাসনের একাংশের । এই অপচেষ্টার ফলে বেআইনি পাচার ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আট থেকে বিকাশ প্রশ্নচিহ্নের মুখে ঠেকেছে । এই বিষয়ে জানা যায় ত্রিপুরার সোনামুড়া মহকুমার সীমান্ত দিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে পাচারকরে কোটি কোটি টাকা রোজগারে সক্রিয় রয়েছে বিশাল একটি পাচার চক্র। বর্ডারের চিহ্নিত পাচারকারীদের ছাড়াও এসব পাচারের ঘটনায় প্রভাবশালী মহল সহ কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের একাংশ অসাধু কর্মচারী জড়িত রয়েছেন। তারা প্রশাসনিক পদ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাচারে মদত জুগিয়ে প্রচুর টাকা উপরি রোজগার করছেন। এতে করে ভারতীয় পণ্য ট্যাক্স ছাড়া অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হওয়ায় দেশের সরকারের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতি সহ সার্বিক বিকাশে। এসব পাচার বন্ধের জন্য সোনামুড়া মহকুমার বিভাগে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন কাস্টমস ইন্সপেক্টর শক্তি সিং , সেতু মিয়া এবং কাস্টমস সুপার গৌতম দাস ।

ছবি: কাস্টম ইন্সপেক্টর শক্তি সিং
ইন্সপেক্টর শক্তি সিং-এর নেতৃত্বে গত ছয় মাসে কাস্টমস -র একাধিক বড় অভিযান পাচারকারীদের জন্য রীতিমতো অস্থিরতা তৈরি করেছে। কিছুদিন আগে সোনামুড়া টাউন থেকে ১৩ লক্ষ টাকা সহ দুই বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছিল । তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয় এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। ৬ মাসে সোনামুড়ায় ইন্সপেক্টর শক্তি সিং-র নেতৃত্বে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। একইভাবে ২২৫ বস্তা চিনি উদ্ধার, কলম চওড়া থানা এলাকা থেকে ১ হাজার বস্তা চিনি উদ্ধার হয়েছিল।

ছয় মাসে টানা কয়েকবার পাচারের জন্য মজুদ করা কাপড় উদ্ধার করেছে শক্তি সিং-এর নেতৃত্বে কাস্টমস দল।

পাচারকারীদের একাংশ প্রথমে চেষ্টা করে অসাধু উপায়ে প্রলোভন দেখিয়ে শক্তি সিং কে নিজেদের চক্রে সামিল করার। কিন্তু শক্তি সিং এবং সুপার গৌতম দাস সেই চক্রে সামিল না হওয়ায় এবার পাচারকারীরা তাদের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক আক্রমণ শুরু করেছে বলে অভিযোগ। সামাজিক মাধ্যমে ভূয়া কিছু অভিযোগ তুলে কাস্টমস আধিকারিকদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। অপচেষ্টা হচ্ছে তাদেরকে মানসিকভাবে দুর্বল করে পাচার বিরোধী অভিযান থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কিংবা সোনামুড়া থেকে বদলি করে দেওয়ার। এই অপচেষ্টায় প্রশাসনের কিছু অসাধু লোকও সামিল রয়েছেন বলে খবর রয়েছে।
তবে তথ্যবিজ্ঞ মহলের বিবরণ সোনামুড়ায় আন্তর্জাতিক পাচার রোখতে এই দুই কাস্টম আধিকারিকের পাশে রয়েছেন সাধারণ জনগণ। একইভাবে কাস্টমস আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের ব্যাপারেও তথ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগ সামনে উঠে আসছে। কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন মহল এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছেন বলেও জানা গেছে। আগামী দিনে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসম্বলিত সংবাদ প্রতিধ্বনির প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে।
Recent Comments