প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৮ মে,,
সাংবাদিকদের রক্ত ঝরানো শ্রম এবং মৃতদেহকে পুঁজি করে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় শাসন ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিল বিজেপি। ক্ষমতা দখলের ছয় বছর বাদে সেই বিজেপি দলের চোখে রাজ্যের সাংবাদিকরা এখন ‘নিষ্কর্মা’। রাজ্যের সাংবাদিকদের “খাইয়া দাইয়া কাম নাই।”
বিরোধীদলকে “ধিক্কার” জানানোর নাম করে ডেকে নিয়ে শনিবার আগরতলার রাজপথে প্রকাশ্যে এক প্রকারে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে “ধিক্কার” জানালো ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি । দলের প্রদেশ সভাপতির সামনেই ত্রিপুরার সাংবাদিকদের “খাইয়া দাইয়া কাম নাই” বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং বিকৃত ব্যবহার করলেন মন্ত্রিসভার সদস্য রতনলাল নাথ। বিজেপি দলীয় অনুষ্ঠানে প্রদেশ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এভাবে সাংবাদিকদের প্রতি একজন মন্ত্রীর আপত্তিকর ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন মহলের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ধিক্কার জানানোর নাম করে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে রীতিমতো সংবাদ জগতকে উদ্দেশ্যে করেই “ধিক্কার” ছুঁড়ে দিয়েছে শাসকদল।
প্রসঙ্গত শনিবার বিজিপি দলের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগরতলায় একটি ধিক্কার মিছিল হয়। বিরোধীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো একগাদা মিথ্যা অভিযোগ তুলে শাসকদল সস্তা রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে এই ধিক্কার মিছিল অনুষ্ঠিত করে আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা শহরে।
আগরতলায় এই ধিক্কার মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। মিছিলে ছিলেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ সহ বিজেপির একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির আমন্ত্রণে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে প্রচারে আনতে স্বভাবসুলভভাবেই এদিন পেষাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিকরা। কিন্তু সেই মিছিলে শুরুতে মন্ত্রী রতন লাল নাথ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এমনকি তিনি সাংবাদিকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে অদ্ভুত মৌখিক ভঙ্গিতে সাংবাদিকদের রীতিমতো “ধিক্কার” ছুড়েদেন। সাংবাদিকদের প্রতি রতন বাবুর আচরণের সময় তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন দলের প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা মন্ত্রী। কিন্তু তাদের কেউ সেই আচরণের প্রতিবাদ করেননি। কিংবা সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেননি। ফলে মন্ত্রী রতনলাল নাথের সাংবাদিকদের প্রতি এই তুচ্ছ আচরণ বিজেপির দলীয় আচরণ বলেই মনে করছেন অধিকাংশ সাংবাদিক মহল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রতনলাল নাথের এই আপত্তিকর মন্তব্য এবং বিকৃত মৌখিক ভঙ্গির ভিডিও ভাইরাল হতেই বিভিন্ন মহলে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
Recent Comments