আগরতলা,,১৪ সেপ্টেম্বর,,,
দিল্লির বুকে দাঁড়িয়ে ২৪ শে লোকসভা ভোটে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন সারা ভারত কৃষক সভার সহ সম্পাদক তথা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর। বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে কৃষক সমাজকে এক হয়ে মাঠে নামতে আহ্বান জানান তিনি। কেরালা, তামিলনাড়ু ও ত্রিপুরার রাবার চাষীদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সংসদ অভিযান ছিল বৃহস্পতিবার। রাবার কৃষকদের এই সংসদ অভিযানের উদ্যোক্তা ছিল সারা ভারত কৃষক সভা ও সারা রাবার চাষী ফেডারেশন। এদিন দিল্লিতে তিনি রাজ্যের মাত্র এক হাজার রাবার চাষী একত্রে সংসদ ভবন অভিযানে নামেন। কিন্তু তাতেই সন্ত্রস্ত পড়লো অমিত শাহ পুলিশ। জি 20 সম্মেলনের নিরাপত্তা বিধি আজ হটাৎ করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সকালে দিল্লির যন্তর মন্তর থেকে মিছিল বেরোবার প্রস্তুতির সময় পুলিশ এসে মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেয়। এরপর সেখানেই রাবার চাষীরা বিজয় কুমার, ই পি জয়রাজন ও ত্রিপুরার রাবার ফেডারেশনের সম্পাদক সুদীপ দেবনাথকে নিয়ে গঠিত সভাপতি মন্ডলীকে নিয়ে তাদের প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করে দেন।উদ্বোধনী ভাষণে সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণন বলেন দমন পীড়নের মধ্যদিয়ে মোদী সরকার বুঝিয়ে দিতে চান তিনি কৃষকদের প্রতি তাঁর মনোভাব পরিবর্তন করেন নি।এর জবাব তিনি পাবেন।কৃষক সভার সর্ব ভারতীয় সভাপতি ডঃ অশোক ধাওয়ালে বলেন কেরালা তামিলনাড়ু ও ত্রিপুরার মাত্র হাজার খানেক রাবার চাষীদের দেখেই ভয় পেয়ে গেছেন মোদী সরকার । এরপর সারা দেশ থেকে রাবার চাষীরা আসবেন।এদের পড়া ফেলার কাজ শুরু হয়েছে ।মূল বক্তা ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভার সহ সম্পাদক তথা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর।
তিনি বলেন রাবার একটি অর্থকরী ফসল এর মাধ্যমে দেশের বিশাল শিল্প তালুক গড়ে উঠেছে যার মাধ্যমে যন্ত্র শিল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শিল্পের কাঁচা মালের যোগান সৃষ্টি হয়। এই কাঁচামালের যোগান দিয়ে একটি বিরাট সংখ্যক রাবার কৃষক তাদের অর্থ নৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে।তিনি বলেন ১৯৭৮ সালে ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকার গঠিত হবার পর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী কেরালা থেকে এই রাবার চাষের প্রগতি দেখে ত্রিপুরায় তাঁর অগ্রগতি ঘটিয়ে ছিলেন।পার্বত্য উপজাতি এলাকায় ধান সহ অন্যান্য চাষ তেমন লাভজনক হবে না বলেই গরীব জুমিয়া ও অন্যান্য প্রান্তিক মানুষদের বিকল্প পথের সন্ধান দেওয়া হয়েছিল।গরীব উপজাতি ও অউপজাতি উভয় অংশের মানুষ দারুণভাবে উপকৃত হয়েছিলেন।পবিত্র কর বলেন মোদি সরকার ও তাঁর দোসর ত্রিপুরা সরকারের সহ্য হলনা।নিজের করপোরেট বন্ধুদের নিয়ে সাপটার অন্তর্ভুক্ত হলেন মোদি সরকার ।সর্বনাশ করে দিয়েছে ত্রিপুরার রাবার চাষের অবস্থা।তিনি বলেন এই রাবার চাষীদের উৎপাদনের পরিমাণ এতটাই ছিল যে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার এক হাজার টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতো।যা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে ।তিনি রাবার চাষীদের এই দৈন্যদশার জন্য তিনটি বিষয়কে দায়ী করেন।এক, মোদি সরকারের পরিকল্পনাহীন কাজকর্ম ও করপোরেট প্রীতি, দুই, সাপটা(সাউথ এশিয়ান প্রেফারেনসিয়েল ট্রেড এগ্রিমেন্ট)বা নবতম করপোরেট ফাঁদ বলে যা বিবেচ্য।তিন, রাবার নিয়ে একচেটিয়া পুঁজিপতিদের বিনিয়োগ। তিনি বলেন ডিউটি ফ্রি অবস্থা থেকে সরকার সড়ে আসার ফলে দেশের প্রধান রাবার উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলেছে।তিনি বলেন এতে বিদেশের বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। পবিত্র কর পরিত্রাণের উপায় হিসেবে একমাত্র আগামী ২৪ এর নির্বাচনে বিজেপি সরকারকে হটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন এর মাধ্যমেই দেশের সমস্ত কৃষক সমাজ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে।দেশ ব্যাপী সমস্ত রাবার চাষীদের একত্রিত করে বৃহত্তর আন্দোলনেরও ডাক দেন পবিত্র কর।
Recent Comments