প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৮ জুন,,
স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ১৯দিনের শিশু সন্তান সহ তাঁর স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ শশুর ,দেবর সহ শাশুড়ি মিলে গৃহবধূকে খুনের চেষ্টা করে। ঢিল দিয়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা করা হয় ১৯ দিনের শিশু সন্তানকে। বৃহস্পতিবার এই চঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে উদয়পুর জয়ন্তী, উমরা পাড়াতে।
ঘটনার বিবরণে আহত গৃহবধূ সানিয়া আক্তারের বাবা জানিয়েছেন এক বছর আগে সামাজিকভাবে তিনি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন বাচ্চু মিয়ার সাথে। বিয়ের সময় ছেলের বাবার চাহিদা মত ১ লক্ষ টাকা নগদ সহ আসবাবপত্র এবং অন্যান্য যাবতীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে সানিয়া আক্তার এবং তার স্বামী বাচ্চু মিয়া ভালোবাসার সম্পর্কে সংসার যাপন করছিল। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু শশুর কাসেম আলী এবং দেবর সিরাজ মিয়া সহ শাশুড়ি সানিয়াকে পনের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে। এমনকি সোনিয়ার শ্বশুর এবং দেবর তার স্বামীকে দুদিন আগে প্রচন্ড মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। বাপ ভাইয়ের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী বাচ্চু মিয়া বৃহস্পতিবার ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে । বাচ্চু মিয়ার আত্মহত্যার পর তাঁর বাবা ভাই এবং মা গৃহবধূ সানিয়া আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেন । তাকে গলাটিপে খুনের চেষ্টা করা হয়। এমনকি সানিয়ার ১৯ বছরের ছেলে সন্তানকে বিছানায় ঢিল দিয়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা হয় । পরবর্তীকালে সানিয়ার চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং পুলিশ খবর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীকালে পুলিশের মদতে আহত সানিয়া আক্তার এবং তার সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা জিবি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কা জনক। এই ঘটনায় এলাকাতে অভিযুক্ত কাসেম আলী, সিরাজ মিয়া সহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এলাকার লোকজন তাদের আইনত শাস্তি দাবি করেছেন। সোনিয়া আক্তার ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গেছে।
Recent Comments