প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২০ মে,,
সুশাসনের রাজ্যে সুরক্ষা নেই সাধু সন্ন্যাসীদেরও। রবিবার আগরতলার অদূরে খয়েরপুর দেব রাম ঠাকুর পাড়ায় এক সন্ন্যাসীর উপর ভয়ানক অত্যাচারের ভিডিও সামনে আসার পর এই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নাগরিক মহলের। আগরতলা শহর থেকে এক কিলোমিটার দূরে দেবরাম ঠাকুরপাড়া বেল তলীতে সন্ধ্যা রাতে নন্দননগরের সুপরিচিত ঠান্ডা কালী বাড়ির সন্ন্যাসীকে ভয়ানক কায়দায় মারধর করল এক নেশাগ্রস্ত যুবক। নেশাগ্রস্ত যুবকের মারে ৭০ ঊর্ধ্ব বয়সের ওই সন্ন্যাসী গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন । সন্ন্যাসীকে অমাণবিক এবং ভয়ানক কায়দায় মারধরের ঘটনার ভিডিও সামনে আসতেই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিম জেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে। আক্রান্ত সন্ন্যাসীর নাম হর লাল মালাকার (৭৫)। তিনি নন্দনগর ঠান্ডা কালী বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন এবং গোটা এলাকায় বিশেষ পরিচিত। ১৯ মে রবিবার সন্ধ্যার পর এই সন্ন্যাসীকে অমানবিকভাবে মারধর করে প্রায় অর্ধমৃত করে ফেলে স্থানীয় যুবক মিঠুন দাস।
শুধু তাই নয় প্রবীণ সন্ন্যাসীকে মিঠুন দাস যখন অমানবিক কায়দায় মারধর করছিল তখন সেই ঘটনার ভিডিও করেছেন আরো কয়েকজন। পরবর্তীকালে সেই ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই ভিডিও সামনে আসতেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থল বোধজঙনগর থানা এলাকা। অভিযোগ সন্ধ্যার পর এই দেব রাম ঠাকুরপাড়া এলাকায় দেশি, বিলাতি মদ সহ সমস্ত রকম নেশার আসর জমে সন্ধ্যার পর। সেই আসরে নেশাগ্রস্ত এক যুবক অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে তাবিজ কবজ নিয়ে ঝামেলার জেরে সন্ন্যাসীকে মারধর করে। ঘটনাস্থলে একাধিক লোক থাকলেও কেউ সেই সন্ন্যাসীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। বরং যে যার মত দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ভিডিও সামনে আসার পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিবাদ শুরু হয়। পরিস্থিত বেগতিক দেখে বোধজঙনগর থানার পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত মিঠুন দাসকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সেই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার কিংবা নেশার আসর বন্ধ করার ক্ষেত্রে পুলিশের কোন তৎপরতা নেই। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোকজন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ক্রমে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং আইনত শাস্তির দাবী তুলেছেন।
Recent Comments