প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৮ জুলাই,,
সজ্জন শান্তিপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহার নেতৃত্বে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নজির তৈরি করছে রাজ্যে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর ১০০ শতাংশ পঞ্চায়েত দখলের ঘোষণার পর যেভাবে এক যোগে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে তা আগে কখনো দেখা যায়নি। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও প্রায় প্রতি নির্বাচনের আগেই রাজ্যে কমবেশি সন্ত্রাসের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু বিপ্লব দেব কিংবা এর আগে মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে সন্ত্রাসের ঘটনার পর পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে, কিংবা বিরোধীরা ডেপুটেশন দিলে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হতো। কিন্তু সেই সব সৌজন্যতাবোধ রীতিমত বিসর্জন দিয়েই সন্ত্রাসের উপর দাঁড়িয়ে ১০০ শতাংশ পঞ্চায়েতে জয় ছিনিয়ে আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী । পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতার পর এই অভিযোগ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক মহলে। বৃহস্পতিবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এই দিনে ফের রাজ্যের সর্বত্র একযোগে সন্ত্রাস সংঘটিত হয়েছে। আগরতলা সংলগ্ন ঢুকলি ব্লকে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা সন্ত্রাসের মুখে দাঁড়িয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ দলীয় নেতৃত্ব মনোনয়নপত্র দাখিলের চেষ্টা করেছেন।
পুলিশ সেখানে উপস্থিত থাকলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। একইভাবে এদিন উদয়পুর কাঁকড়াবনে দেখা গেছে শাসকদলের গিরগিটি রুপ। উদয়পুর কাঁকড়াবনে প্রথমে শাসক দলীয় নেতৃত্ব মিডিয়ার সামনে কংগ্রেস প্রার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে লাল গোলাপ দিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে সাহায্য করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
কিন্তু পরক্ষণেই টেপানিয়াতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে কংগ্রেস প্রার্থীদের উপর সঙ্ঘবদ্ধ হামলা হয় বলে অভিযোগ।সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীদের নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন । কংগ্রেস বিধায়কের উপরও সঙ্গবদ্ধ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিধায়কের পায়ে এবং পিঠে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন।
এছাড়া এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে একযোগে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। শাসকদলের সন্ত্রাসে পুরাতন আগরতলা ব্লক, জিরানিয়া, বামুটিয়া সহ শুধুমাত্র পশ্চিম জেলায় পাঁচটির বেশি ব্লকে ঠিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি বলে বামফ্রন্ট প্রার্থীরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে এদিন আগরতলা শহরের বুকে রাস্তা অবরোধে শামিল হন। শহরের প্যারাডাইস চৌমুনীতে চলে রাস্তা অবরোধ।
শহরের বুকে অবরোধ তৈরি করে সিপিআইএম নেতা পবিত্র কর দাবি তোলেন অনলাইনে কিংবা অফলাইনে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে। তিনি হুংকার দিয়া বলেন খুব শীঘ্রই বিজেপির পতন ঘটতে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের নেতৃত্বে ক্রমাগত এসব সন্ত্রাসের ঘটনায় বিরোধী দল এবং সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি পুলিশ মহলেও তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
Recent Comments