প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৯ সেপ্টেম্বর,,
সাংবাদিকদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ সালে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল করেছিল বর্তমান শাসকদল বিজেপি। ক্ষমতা দখলের পর ক্রমশই সেই সাংবাদিকদের শত্রুর তালিকায় রেখে ছলে বলে কৌশলে চলছে একের পর এক সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ। কখনো সংবাদ মাধ্যম গুলোর বিজ্ঞাপনে কাটছাঁট করা হচ্ছে। কখনো আবার পরিকল্পিতভাবে সংবাদ মাধ্যমকে গুরুত্বহীন করতে সোশ্যাল মিডিয়ার ইউটিউবারদের সরকারি কোষাগার থেকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে । ৫-৬ বছরের ক্রমাগত চক্রান্তের পরও যখন সংবাদ মাধ্যম গুলো গণতন্ত্র রক্ষায় শির দ্বারা উঁচু করে ময়দানে টিকে আছে তখনই শুরু হয়েছে সরাসরি হামলা। রামাবলি গায়ে জড়িয়ে শাসক দলের উন্মাদ বাহিনী দেখে দেখে প্রতিবাদী সাংবাদিকদের উপর হামলা সংঘটিত করছে। বর্তমান গণেশ পূজা উৎসবের মধ্যে এমনিভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা সংঘটিত হলো রবিবার রাতে। পূর্ব থানা এলাকার মঠচৌমনি এলাকায় গেরুয়াধারী একদল দুষ্কৃতী হামলা করে রাজ্যের সুপরিচিত চার সাংবাদিকের উপর। দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হন সাংবাদিক প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, মিহির লাল সরকার সহ মোট চার জন সাংবাদিককে। হামলাকারীরা বাইক এবং গাড়ি নিয়ে এসেছিল। সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হওয়ার পরও একজনকে আটকে রাখে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ মুখ্য উপযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত তিনজনের নাম সুকান্ত দেবনাথ ওরফে (নিশান) , সৌরভ ভট্টাচার্জী , আকাশ বনিক।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের উপর এই হামলার প্রতিবাদে একযোগে গর্জে উঠেছেন রাজ্যের সমস্ত সাংবাদিক , আগরতলা প্রেসক্লাব এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। রাজ্যের প্রত্যেকটি সাংবাদিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। সোমবার বিকেল নাগাদ রাজ্য থেকে প্রচারিত ও প্রসারিত সব কয়টি প্রিন্ট, বৈদ্যুতিন ও পোর্টাল সংবাদ মাধ্যম যৌথভাবে রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকরের সাথে দেখা করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এসেম্বলি অব জার্নালিস্ট -র সাধারন সম্পাদক শানিত দেবরায়। প্রণব সরকার, জয়ন্ত দেবনাথ, অনল রায়চৌধুরী, অভিষেক দে, বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য, জয়ন্ত ভট্টাচার্য ,সেবক ভট্টাচার্য , সুজিৎ দে, সৌরজিৎ পাল, উত্তম চক্রবর্তী,অভিজিৎ ঘোষ, প্রতীক মহলানবিশ, মানব দেববর্মা ও রঞ্জিত দেববর্মা প্রমুখ। সাংবাদিকরা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে শহরে নেশাখোরদের উৎপাত এবং বিসর্জনের নামে উৎশৃংখলতার ঘটনায় পুলিশকে তৎপর হয়ে ভূমিকা নিতে দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহা নির্দেশক এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ভূমিকা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
Recent Comments