প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৩ মে,,,
উষা বাজার ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবের সেক্রেটারি দুর্গা প্রসন্ন দেব হত্যাকাণ্ডে এবার এক অল্প বয়সী যুবতীকে গ্রেফতার করলো এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। ধৃত যুবতীর নাম সুস্মিতা সরকার (১৯)। তার বাড়ি নতুন নগর। সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার বিকেলে এই যুবতীকে পুলিশ থানায় ডেকে নিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি এই যুবতীর সঙ্গে দুর্গা প্রসন্ন দেবের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । পুলিশের এই দাবির পেছনে কারণ হলো খুনের ঘটনার রাতে এই যুবতীর সঙ্গে দুর্গা প্রসন্ন দেবের একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপ কল হয়েছে। তাছাড়া খুনের ঘটনার এক দুদিন আগে দুর্গা প্রসন্ন দেব তার গাড়ির চালককে দিয়ে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট ক্রয় করেছিলেন। তার থেকেই পুলিশের সন্দেহ তৈরি হয় যে এই ঘটনাতে কোন মহিলার যোগ থাকতে পারে। তাই পুলিশ খোঁজখবর করে দুর্গা প্রসন্ন দেবের প্রেমিকাকে খুঁজে বের করে এবং গ্রেফতার করেছে। সুস্মিতা সরকারকে গ্রেফতারের পর এই খুন কাণ্ডে পুলিশ মোট দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও পুলিশের এসব গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র আপত্তি উঠেছে। অভিযোগ এই খুনের ঘটনায় থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশের একাংশ মোটা টাকায় ম্যানেজ হয়ে গেছেন। পুলিশ টাকায় ম্যানেজ হয়ে চাইছে প্রকৃত খুনি এবং অভিযুক্তদের পাশ কাটিয়ে মামলার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে। সূত্রের এটাও দাবি পুলিশ এবার নেহাত একটি প্রণয়ের সম্পর্ককে সামনে এনে প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে এই খুন কাণ্ডের প্রকৃত অভিযুক্তদের আড়াল করতে চাইছে। আগামী দিনে পুলিশ যদি দাবি করে এই খুন কান্ডে নিগো বাণিজ্য কিংবা গ্যাং ওয়ারের কোনো সম্পর্ক নেই বরং ত্রিকোণ প্রেমের জেরে দুর্গা প্রসন্ন দেব খুন হয়েছেন তাহলে আশ্চর্যের কিছু থাকবেনা। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে শালবাগান হাতি পাড়াতে গুলিকরে খুন করা হয়েছিল ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবের সেক্রেটারি দুর্গা প্রসন্ন দেবকে।

সেই খুনের মামলায় পুলিশ বুধবার ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল। প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এবার দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুস্মিতা সরকারকে। কিন্তু মৃতের স্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডে রাজু বর্মন সহ যে কয়েকজন কুখ্যাত সমাজদ্রোহীর নাম উল্লেখ করেছিলেন তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই খুন কাণ্ডের তদন্তে পুলিশের ভূমিকা সন্দেহের মধ্যে ডুবে আছে।
Recent Comments