‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর’ অভিযানের ষষ্ঠ পর্যায়ের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। চলবে বয়স্কদের বিসিজি টিকাকরণ।

সংবাদ প্রতিনিধি,, বিশালগড়,, ৮ ফেব্রুয়ারি,,

‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর’ অভিযান ষষ্ঠ পর্যায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বিসিজি টিকাকরন সমীক্ষার রাজ্যব্যাপী কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন হল বৃহস্পতিবার। বিশালগড় নতুন টাউন হলে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। বিশালগড় নতুন টাউন হলে এই কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুশান্ত দেব, টি আই ডি সি চেয়ারম্যান নবাদল বনিক,মিশন ডাইরেক্টর ডি কে চাকমা, সিপাহী জলা জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক ,জেলা পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ ।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে পালিত হবে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানে শূন্য থেকে ১৯ বছরের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ছেলে মেয়ে এবং কিশোর কিশোরীদের ওষুধ খাওয়ানো হবে। ত্রিপুরা সরকার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ্ শৈশব, সুস্থ কৈশোর অভিযান কর্মসূচির সূচনা করেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর ষষ্ঠ পর্যায়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ,অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ডিগ্রী কলেজ, আইটিআই কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র এবং অন্যান্য শিক্ষা কেন্দ্রে ছেলেমেয়েদের ঔষধ বিতরণ করা হবে। এছাড়াও ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন চা বাগান, ইটভাট্টা ,বস্তি এলাকা ,অনাথ আশ্রম বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ঔষধ বিতরণ করা হবে। সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়েও ছেলেমেয়েদের ঔষধ খাওয়ানো হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে কিশোরী বিবাহ এবং কিশোরী গর্বাবস্থা রোধ করা ,জন্মের পর শিশুর শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর উপর জোর দেওয়া নিয়ে গ্রাম সভায় বিশেষ সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান বাস্তবায়িত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর, বিদ্যালয়ের শিক্ষা দপ্তর, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর এবং বিভিন্ন ডেভলপমেন্ট পার্টনারদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। এই দেশের সম্ভাব্য টিভি রোগের বিস্তার কমাতে ঝুঁকিপূর্ণ বয়স্কদের মধ্যে বিসিজি টিকা কার্যকরী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে টিবিরোগ নির্মূল করার জন্য ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলিতে সকল ঝুকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের বিসিজি টিকা দেওয়া হবে । এই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে ত্রিপুরা রাজ্য প্রাপ্তবয়স্কদের বিসিজি টীকাকরণ সমীক্ষার রাজ্য ভিত্তিক শুভ সূচনা হলো।