সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২৫ ডিসেম্বর,,
বড়দিন উৎসব বয়কট করে তুলসী পূজনের প্ররোচনামূলক প্রচারকে নস্যাৎ করে রাজ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই পালিত হচ্ছে বড়দিন উৎসব। খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক প্রভু যীশুর জন্মদিনে সব ধর্ম বর্ণের লোকেরা একত্রে ক্রিসমাস তথা বড়দিন উৎসব পালন করছেন। গির্জা এবং খ্রিস্টান প্রার্থনালয় গুলিতে ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে সম্প্রীতি প্রিয় মানুষের। প্রতিবারের মতো এবারো বড়দিনের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান হচ্ছে শহরতলীর খয়েরপুর মরিয়ম নগরে। মরিয়ম নগর ক্যাথলিক চার্জে বড়দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক প্রাক্তন অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী সহ গির্জার ফাদার এবং স্থানীয় নেতৃত্ব।

মরিয়ম নগরে বড়দিন উৎসব উপলক্ষে একটি আনন্দ মেলারও আয়োজন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বড়দিন উৎসব সূচনার পর থেকে রাত পর্যন্ত হাজার হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হচ্ছে মরিয়ম নগর ক্যাথলিক চার্জে। সবাই বছর শেষে বড়দিন উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেন।
প্রসঙ্গত রাজ্যের সংখ্যালঘু খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন অনুষ্ঠানে প্রতিবছরই রাজ্যের হিন্দু-মুসলিম জাতী উপজাতি সহ সমস্ত ধর্ম বর্ণের লোকেরা সামিল হন। সম্প্রীতির মেলবন্ধনের এক অপূর্ব চিত্র ফুটে উঠে গির্জা এবং মিশনারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত ত্রিপুরাতে নতুন অপসংস্কৃতি মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। ২৫শে ডিসেম্বরকে তুলসী পূজা দিবসের নাম করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকেরা যাতে বড়দিন উৎসব বয়কট করে তুলসী পূজা করেন। রাজ্যের বৃহৎ অংশের হিন্দু সমাজ এই ধরনের প্রচারকে প্ররোচনামূলক মূলক বলে খন্ডন করছেন। কারণ প্রায় প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতে সকাল সন্ধ্যায় তুলসী গাছে জল ঢেলে প্রণাম জানানো হয়। এই অবস্থায় ২৫ ডিসেম্বরে তুলসী পূজার নাম করে বড়দিন উৎসব বয়কট করার প্রচার ধর্মীয় সংকীর্ণতা এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী বলেই তথ্যবিজ্ঞ মহলের দাবি। অন্যান্য বছরের মতো এবারও রাজ্যের বৃহৎ অংশের সম্প্রীতি প্রিয় মানুষ সেই প্ররোচনাকে নস্যাৎ করে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির বার্তা তুলে দিয়েছেন।
Recent Comments