সংবাদ প্রতিনিধি,,, আগরতলা,, ১ অক্টোবর,,
স্মার্ট সিটির রাস্তা পরিষ্কারের নামে গরিবের পেটে লাথি দিতে ব্যস্ত আগরতলা পুর নিগম ছাড় দিচ্ছে রাস্তা জবরদখল করে গড়ে ওঠা বেআইনি পূজা মন্ডপকে ! দুর্গোৎসবের মুখে আগরতলা পুর নিগম কর্তৃপক্ষের এই দ্বিচারী মনোভাব প্রশ্ন তুলেছে পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার সহ রাজ্য প্রশাসনের কাজের ধরন নিয়ে। ঘটনার বিবরণের জানা যায় স্মার্ট সিটি আগরতলায় রাস্তাঘাট জঞ্জাল মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। দুর্গোৎসবে শহর পরিষ্কার এবং সৌন্দর্যায়নের নামে পুর নিগমের উদ্যোগে শনিবার দিনভর আগরতলায় চলে বুলডোজার অভিযান। শহরের বটতলা, শকুন্তলা রোড সহ বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকা গুলিতে রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকানগুলোকে বুল ডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। তুলে নেয়া হয় গরিব ব্যবসায়ীদের মালপত্র।

পুর নিগমের এই অভিযানে মুহুর্তের মধ্যে অন্ধকার নেমে আসে খুদে ব্যবসায়ীদের। উৎসবের মুখে তাদের রোজি-রোজগার বন্ধ হয়ে যায় । গরিব ব্যবসায়ীদের অনেকেই এদিন সর্বস্বান্ত হয়ে রাস্তার উপর নিজের দোকানের ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কিন্তু রাস্তা পরিষ্কারের নামে গরিব ব্যবসায়ীদের ওপর বুলডোজার চালানো আগরতলা পুর নিগম ছাড় দিয়ে রেখেছে আখাউড়া স্থল বন্দরের প্রবেশপথে রাস্তার উপর গড়ে ওঠা যুবক সংঘের পূজা মন্ডপকে। বর্ডার গোল চক্করে যুবক সংঘ ক্লাব দীর্ঘ বছর তাদের ক্লাব ঘরের সামনে খালি জায়গায় দুর্গা পূজার আয়োজন করত। কিন্তু এ বছর পূজা কমিটির বাহুবলী কর্মকর্তারা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে রাস্তার উপর পূজা মন্ডপ তৈরি করার উদ্যোগে নয় এবং কাজ শুরু করে। আগরতলা- আখাউড়া ব্যস্ততম রাস্তার ডাবল লাইনের এক পাশ দখল করে যুবক সংঘের পূজা কমিটি তাদের পূজা মন্ডপের কাজ শুরু করে।

গত দুই সপ্তাহ যাবত যুবক সংঘের পূজা মন্ডপ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আখাউড়া রাস্তার উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। সেই এলাকার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই বাড়ি রয়েছে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারের। কিন্তু মেয়র সাহেব সেই ব্যস্ততম রাস্তা খালি রাখতে বেআইনি পূজা মন্ডপের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযান কিংবা বুলডোজার চালানোর সাহস দেখাতে পারছেন না। কারণ এই যুবক সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তারা অধিকাংশই শাসকদলের বাহুবলী নেতা হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ যুবক সংঘ ক্লাব কর্মকর্তাদের বেআইনি কাজকর্ম নিয়ে প্রতিবাদ কিংবা প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে গেলে নিগম চেয়ারম্যান নিজের পদ খোয়াতে পারেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে। তাই এলাকার ব্যবসায়ী সহ নাগরিক মহল থেকে অভিযোগ আসলেও আগরতলা পুর নিগম যুবক সংঘের পূজা মন্ডপ ভাঙতে কোন উদ্যোগ নেয়নি। পুর নিগমের এই দ্বিচারিতায় বর্তমান সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি ভরসা হাড়াতে শুরু করেছেন নাগরিক মহল। আগরতলা পুর নিগম ছাড়াও বেআইনিভাবে ব্যস্ততম রাস্তা দখল করে পূজা মন্ডপ তৈরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সদর মহকুমা প্রশাসন এবং আরক্ষা প্রশাসন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে শহরের বুকে যুবক সংঘের বেআইনি পূজা মন্ডপের বিরুদ্ধে কোন অভিযান নেই সদর মহকুমার পুলিশ কিংবা সাধারণ প্রশাসনের।
Recent Comments