প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ২ এপ্রিল,,
রাজ্যের সাংবাদিকদের প্রকৃত স্বার্থ রক্ষায় এবার প্রেস ক্লাব নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নামলেন রাজ্যের একঝাঁক গুণী সাংবাদিক। বরিষ্ঠ সম্পাদক শানিত দেবরায়ের নেতৃত্বে সাংবাদিকরা লড়াই করছেন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ প্যানেলের হয়ে। এই প্যানেল থেকে প্রেস ক্লাবের সভাপতি পদে লড়ছেন ত্রিপুরা থেকে প্রেসক্লাব অফ ইন্ডিয়ার একমাত্র সদস্য বরিষ্ঠ সাংবাদিক প্রণব সরকার। সম্পাদকের পদে লড়ছেন রাজ্যের সংবাদ জগতের অন্যতম সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্ব বরিষ্ঠ সাংবাদিক ডক্টর বিশেন্দু ভট্টাচার্য। সহ সভাপতি পদে প্রবীর শীল, সহ-সম্পাদকের পদে রয়েছেন স্যন্দন পত্রিকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং পরোপকারী সাংবাদিক অভিষেক দে, এবং সাংবাদিক সুরজিৎ পাল। এছাড়াও এই প্যানেলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং কার্যকরী সদস্য পদে রাজ্যের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কয়েকজন সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন।


প্যানেলের অধিকাংশ সাংবাদিকের যেমন রয়েছে উচ্চ শিক্ষা তেমনি রয়েছে জাতীয় স্তরের পরিচিতি। রয়েছে সুখে, দুঃখে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা। পাশাপাশি এই প্যানেলের সাংবাদিকরা সাংবাদিকদের স্বার্থে যুগান্তকারী কিছু প্রতিশ্রুতি সামনে রেখে আগরতলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনকে রীতিমতো আকর্ষণের কেন্দ্রস্থল বানিয়ে তুলেছেন। আগামী ৬ এপ্রিল আগরতলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনে একাধিক সাংবাদিক বিভিন্ন পদের জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী প্যানেল হিসেবে সামনে উঠে এসেছে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ। ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন বরিষ্ঠ সম্পাদক শানিত দেবরায়। এই প্যানেলের পক্ষ থেকে বুধবার আগরতলা প্রেসক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে শানিত দেবরায় সভাপতি সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদপ্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। একইভাবে প্যানেল সাংবাদিকদের স্বার্থে কি করতে চাইছে সেগুলি প্রতিশ্রুতি হিসেবে সামনে তুলে ধরেন।
(ভিডিও দেখতে প্লে বাটনে ক্লিক করে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন)
এইসব প্রতিশ্রুতি রীতিমতো আগরতলা প্রেসক্লাবের ইতিহাসে যুগান্তকারী বলা চলে। ইউনাইটেড প্যানেল ঘোষণা দিয়েছে আগামী দিনে তাদের প্রার্থীরা ক্ষমতায় এলে সাংবাদিকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা চালু করা হবে। এই প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল আপাতকালীন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে। একইভাবে প্রয়োজন নিরীক্ষে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য জারি থাকবে। চালু করা হবে প্রেসক্লাব সদস্যদের গ্রুপ ইন্সুরেন্স। ই এস ই আই প্রকল্পে সাংবাদিকদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে। প্রকৃত সাংবাদিকদের জন্য চালু করা হবে প্রেস স্টিকার। প্রত্যেক সংবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি করে গাড়ি এবং সাংবাদিকদের সংবাদের কাজে ব্যবহৃত বাইক স্কুটারের রোড ট্যাক্স ফ্রি করার দাবি তোলা হবে । সংবাদমাধ্যমগুলির অফিসের বিদ্যুৎ বিল ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য দাবি তোলা হবে। সাংবাদিক এবং তাদের পরিবারের চিকিৎসা সংক্রান্ত আপাদকালীন পরিষেবার জন্য এম্বুলেন্স বরাদ্দ করার দাবি তোলা হবে। প্রেস কার্ড প্রদান সহ প্রেস এগ্রিডিকেশন কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো, আগরতলা প্রেসক্লাবে মহিলা সাংবাদিকদের জন্য পৃথক রুম বরাদ্দ করা, মহিলা সাংবাদিকদের সুযোগ সুবিধা দেখার জন্য পৃথক কমিটি করা, প্রয়াত বর্ষিয়ান সাংবাদিকদের ছবি সম্বলিত গ্যালারি তৈরি করা সহ একাধিক প্রাসঙ্গিক প্রতিশ্রুতি ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ প্যানেলের প্রার্থীরা সামনে তুলে এনেছেন। একইভাবে তারা সাংবাদিকদের স্বার্থে “এক ক্লাব এক পরিবার”-র ডাক দিয়েছেন।
কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে তারা কুচক্রীদের সমস্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে দৃঢ়ভাবে মাঠে নেমেছেন। আগরতলা প্রেসক্লাবকে বৌদ্ধিক এবং প্রকৃতঅর্থেই বুদ্ধিজীবীদের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে তারা প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট দিতে সমস্ত সাংবাদিকদের কাছে আহ্বান রেখেছেন। প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের আগে ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ প্যানেলের এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন সাংবাদিক মহলে গভীর প্রভাব তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Recent Comments