প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, বিশালগড় ,, ২৮ আগস্ট,,
কথায় বলে ‘ধর্মের কল বাতাসে নাড়ে।’ ঠিক এমনই অবস্থা এখন ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপিতে। সন্ত্রাস এবং ভোট লুট করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে জয়লাভ করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার সেই পঞ্চায়েত গুলোতে প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে একযোগে প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দলে অস্থিরতা রয়েছে। পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং তালা ঝুলানোর প্রতিযোগিতা। বুধবার একই ঘটনা সংগঠিত হলো বিশালগড় ব্লকের পাতালিয়া পঞ্চায়েতে। দলীয় নেতৃত্বের নির্বাচিত প্রধানকে এলাকার লোকজন চেনেন না। জনবিছিন্ন পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রধান নির্বাচন করার ক্ষোভে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে গেটের সামনে ঘেরাও করে রাখেন স্বদলীয় নেতাকর্মীরা।
এদিন এই পঞ্চায়েতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল ।খোদ বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। জানা যায় বর্তমানে দলীয় নেতৃত্ব যাকে প্রধান করেছেন দেবশ্রী শীল ভৌমিক,তাকে কেউ চিনেন না। জনগন তাকে প্রধান হিসেবে চান না এবং প্রাক্তন প্রধান মমতা দাসের নেতৃত্বে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে শপথ গ্রহণ বয়কট করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । দাবি জানান রাজ্য নেতৃত্ব এসে কথা বলে সমস্যার সমাধান করলেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই দাবিতে খবর লেখা পর্যন্ত পঞ্চায়েতে উত্তেজনা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জোয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের সন্ত্রাসে প্রার্থী জমা দিতে পারেনি বিরোধী দল। ৭০ শতাংশের বেশি পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বিতায় জয় পেয়েছেন শাসকদলের প্রার্থীরা। ভোটের নামে বাকিগুলিতে ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। জোর করে পঞ্চায়েতে দখল নেওয়ার পর এবার সেইসব পঞ্চায়েতে প্রধান এবং উপ প্রধানের পদ দখল নিয়ে দিকে শুরু হয়েছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল। বক্সনগরের মত কিছু এলাকায় খোদ শাসক দলীয় বিধায়কের গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্য থেকে।
ত্রিপুরার ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনো দেখা যায়নি।
Recent Comments