সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা ,,১৬ ফেব্রুয়ারি,,শুক্রবার কৃষক এবং শ্রমিকদের ঢাকা ধর্মঘটে রাজ্য স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়েছেন একাংশ ব্যবসায়ী এবং পরিবহন শ্রমিক। ধর্মঘটে কোন পিকেটিং না থাকলেও রাজধানীতে অনেক দোকানপাট তালা বন্ধ ছিল। শহরে কম ছিল যান চলাচল। যাত্রীবাহী অনেক যানবাহনের চালক এবং মালিক কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের গৃহবন্দী রেখেছেন এদিন। যানবাহন নিয়ে অনেকে রাস্তায় বের হননি বলে স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রীবাহী যান চলাচল কম ছিল আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা শহরে। নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রাজ্যে ধর্মঘটকে সফল করে দিয়েছে বলে বামপন্থী নেতৃত্বের বিবরণ।গ্রাম ভারত ধর্মঘটে এদিন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।


অন্যদিকে ধর্মঘটের দিনে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চা এবং কেন্দ্রীয় ট্রেনে ইউনিয়ন। দিল্লির অভিমুখে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের কৃষকদের উপর পুলিশে বর্বরতার বিরুদ্ধে গোটা দেশের সাথে রাজ্য বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। তারই অঙ্গ হিসেবে রাজধানী আগরতলা সহ ত্রিপুরার বিভিন্ন মহকুমায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আগরতলার প্রতিবাদ মিছিল এবং পরে বিক্ষোভ সভা হয় প্যারাডাইস চৌমহনিতে।


সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ত্রিপুরার আহ্বায়ক পবিত্র কর বলেন কৃষকদের ভয় পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি । তাই কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পথে প্রাচীর তুলে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে যেন বাইরের দেশের কোন শত্রুকে রুখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ড্রোনের সাহায্য কৃষকদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে রবার বুলেট ব্যবহার করে কৃষকদের লাঠি মেরে মোদি সরকারের স্বৈরতন্ত্রী মনোভাব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শতাধিক কৃষক আহত হয়েছেন।কৃষকদের অত্যাচার করে কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিং ও কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ এম এস স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হওয়া কোনো অর্থ আছে কি না?তিনি প্রশ্ন তোলেন । কৃষি বিজ্ঞানী মথুরা স্বামীনাথন যিনি কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ এম এস স্বামীনাথনের মেয়ে, তিনিও কৃষকদের সাথে অপরাধীর মতো আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ডঃ এম এস স্বামী নাথনকে ভারতরত্ন দেওয়া একই সাথে তাঁর দেওয়া ফর্মুলা না মানা মোদি সরকারের অহঙ্কারী মনোভাবেরই পরিচয় স্পষ্ট করেছে।আজকের বনধ ও ধর্মঘটের সাফল্য দেখিয়েছে দেশের অন্নদাতারা ও শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব অন্যায়ের জবাবের জন্য তৈরি ।সভায় সি আই টি ইউ র রাজ্য কমিটির সভাপতি মানিক দে বলেন আজকের ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।শ্রমিক কৃষকরা বুঝিয়ে দিতে বধ্যপরিকর।তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী অস্থির ও আতংকিত হয়ে পড়েছেন।এত বছর যাদের কথা মনে হয় নি তাদের ভারতরত্ন দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে চলেছেন। অন্যদিকে এদিনের ধর্মঘটে রাজধানীতে খুব একটা প্রভাব না পড়লে এবং ধর্মঘটে একটা অংশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ধর্মঘটের দিনে রাজধানীতে অনেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের দোকান বন্ধ রাখেন। অনেকের যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হননি বলে রাস্তায় যাত্রীবাহী যানবাহনের অভাব ছিল। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষক শ্রমিকদের এই ধর্মঘট ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে জানা গেছে।
Recent Comments