বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে কুখ্যাত কয়েদি স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা পালিয়ে যাওয়ার পর এবার জেলের ভেতরে উদ্ধার হল দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল। বুধবার সন্ধ্যার পর সংশোধনাগারের ভেতরে “রত্নাকর মহলে” দুইটি মোবাইল পাওয়া গেছে বলে খবর। তবে এই মোবাইল উদ্ধারের ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের কোন কৃতিত্ব নেই। সূত্রের দাবি বুধবার সন্ধ্যার পর নিয়মমাফিক ওয়ার্ডেন জেলের ভেতরে রাউন্ড দেওয়ার সময় “রত্নাকর মহলে” একটি সেলের সামনে মোবাইলগুলি পাওয়া যায়। ওয়ার্ডেন মোবাইলগুলো নিয়ে জেলারের কাছে জমা করেছেন বলে খবর। স্বর্ণকুমার ত্রিপুরার জেল পলায়নের ঘটনার পর এই মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা নতুন চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।
ছবি: কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পলাতক সর্ণকুমার ত্রিপুরা।
সূত্রের দাবি স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা জেল পলায়নের ঘটনায় নিশ্চিত রূপে জেলের ভেতর থেকে মোবাইলের ব্যবহার হয়েছে। মোবাইল ব্যবহার করে স্বর্ণকুমার বাইরের সঙ্গীদের সাথে যোগাযোগ করে পালিয়ে গিয়েছিল। যেমনটা হয়েছিল ২০২১ সালে তুর্কি হ্যাকার হাকান জাম্বুরকান জিবি থেকে পলায়নের ঘটনায়। তৎকালীন সময়ে জেলের ভেতর থেকেই হাকান মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মেসেজ করে বাইরের সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিল। তৎকালীন সময়ে হাকানকে সেই মোবাইল সরবরাহ করতে সহযোগিতা করেছিল হাকান পলায়নের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা। কিন্তু হাকান পালিয়ে যাওয়ার পর জেলারের নেতৃত্বে একাংশ সেই মোবাইলের বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনার তিন দিন বাদে তৎকালীন আইজি প্রিজন অদিতি মজুমদারের তথ্যমূলে জেলের ভেতরে একটি সেলের প্লাস্টিকের দরজার ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল সেই মোবাইল। কিন্তু এবারকার ঘটনায় জেলের সুপার থেকে শুরু করে আইজি পর্যন্ত সবাই প্রকৃত সত্য আড়াল করে রেখে ভারপ্রাপ্ত জেলার দেবাশীষ শীলকে বাঁচানোর তৎপরতা শুরু করেছেন। ফলে জেল পলায়নের ঘটনার দুদিন বাদেও কয়েদিদের সেল তল্লাশি কিংবা ঘটনার সুষ্ট তদন্তের কোন লক্ষণ নেই। জেলের দুই সাধারণ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেই দায়িত্ব খালাস করতে চাইছেন জেল সুপার রাকেশ চক্রবর্তী। সুপারের মদতেই স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা পলায়নের ঘটনায় জড়িতরা বহু লক্ষ টাকা পকেটে গুজে এখনো স্বমহিমায় রয়েছেন। একাংশের ধারণা কারা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই জেল পলাতক স্বর্ণকুমার ত্রিপুরা নিরাপদে বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছে।
Recent Comments