প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,,১৭ আগস্ট,,
একাধিক অবৈধ কার্যকলাপ এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তিগত বিষয় ছড়িয়ে দলীয় ক্ষতি করার অভিযোগে অবশেষে চূড়ান্তভাবে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হলো খয়েরপুর যুব মোর্চার সভাপতি মান্না দেকে। মান্না দে কে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করে এ বছর ২৪ মে তারিখেই নির্দেশে জারি করেছিলেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত।

তৎকালীন সময়ে সেই বরখাস্তের নির্দেশ দলীয়ভাবে চাপা রেখে তাকে শুধরানোর জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু গত চার মাসের বেশি সময় যাবৎ মান্নার স্বভাবে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ বাড়তে থাকে। অন্যদিকে মান্নাকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না ? এবং দলীয় কার্যক্রমে তাকে কেন দেখা যাচ্ছে ? তা নিয়ে এলাকার শাসক দলীয় নেতৃত্বের উপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন তার স্ত্রী সঙ্গীতা দাস। পাশাপাশি মান্না দের পারিবারিক ঝামেলাকে হাতিয়ার করে খয়েরপুরের শাসক দলের একাংশ ২৮ এর নির্বাচনে নিজেদের টিকিট পাক্কা করতে ষড়যন্ত্র করে এলাকার বিধায়ক সহ মন্ডল নেতাদের নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এবং অপপ্রচার শুরু করেন। সার্বিকভাবে খয়েরপুরে বিজেপি দলের ব্যাপক বদনাম হচ্ছে। এমনকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে কয়েকজন খয়েরপুরের নেতাদের বদনাম করতে গিয়ে গোটা বিজেপি দলকেই বদনাম করে দিচ্ছেন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির হিতাকাঙ্ক্ষী মহল প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করে সুস্থ সমাধানের দাবি জানান। অবশেষে বিজেপি প্রদেশ নেতৃত্ব ২৪ মে তারিখে খয়েরপুর যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে মান্না দেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেন। রবিবার দলীয়ভাবে পূর্বতন নির্দেশের কপি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। দলীয় এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন খয়েরপুরের বিজেপি কর্মী সমর্থক। তবে দলের মধ্য থেকে যারা ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষায় এখনো ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দলের ক্ষতি করে চলছেন তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি তুলেছেন খয়েরপুরবাসী।
Recent Comments