প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৯ জুলাই,,
রাজ্যের বেসরকারি কৌমি মাদ্রাসা গুলি নিয়ে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত চাপাচাপি পছন্দ করছে না রাবেতায়ে মাদারিসে ইসলামিয়া ত্রিপুরা তথা নিখিল ত্রিপুরা কৌমি মাদ্রাসা বোর্ড। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়টি জানিয়েছেন নিখিল ত্রিপুরা কৌমি মাদ্রাসা বোর্ডের সভাপতি মুফতি তৈয়ীবুর রহমান। আগরতলা গেদু মিয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে তৈয়ীবুর রহমান সাহেব বলেন ত্রিপুরাতে ৩৫ টির মতো কৌমি মাদ্রাসা রয়েছে। এগুলো সর্বভারতীয় রাবেতা বোর্ডের প্রধান কার্যালয় দারুল উলুম দেওবন্দের নিয়ম নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে রাজ্য সরকার বিশেষ একটি নির্দেশিকা জারি করে মাদ্রাসাগুলিকে চাপ দিচ্ছে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করার জন্য। চাপ দেওয়া হচ্ছে মাদ্রাসাগুলিকে রেজিস্ট্রেশনের সমস্ত তথ্য রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। শুধু তাই নয় এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর এবং মাদ্রাসা সেলের একাংশ আধিকারিক কৌমি মাদ্রাসাগুলিকে অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দাবি সহ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত চিঠি দাখিল করেছে নিখিল ত্রিপুরা কৌমি মাদ্রাসা বোর্ড। এই বিষয়ে বোর্ডের সভাপতি মুফতি তৈয়ীবুর রহমান সাহেব বলেন ১৮৬৬ সালে দেশে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৫৮ বছর পুরন দেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। এই প্রতিষ্ঠানের স্থাপনের বহু পরে কংগ্রেস, বিজেপি, এবং সিপিআইএমের মতো রাজনৈতিক দলগুলি গঠিত হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্দেশিকা মেনেই রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৌমি মাদ্রাসা বোর্ড পরিচালিত হচ্ছে। এই মাদ্রাসাগুলিতে নিয়ম মত আংশিক বিজ্ঞান এবং অংক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু মুসলিম অংশের মাত্র ৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এই মাদ্রাসাগুলিতে পড়াশোনা করছে। তাই এই মাদ্রাসাগুলি নিয়ে সরকারের অনৈতিক হস্তক্ষেপ মুসলিম সমাজ তেমন পছন্দ করছে না বলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন মুফতি তৈয়ীবুর রহমান সাহেব। সরকারকে এই ক্ষেত্রে সহনশীল হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলেই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিল নিখিল ত্রিপুরা কৌমি মাদ্রাসা বোর্ডের অভিমত।
Recent Comments