সংবাদ প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ৯ ফেব্রুয়ারি,,
“ঘর পেয়েছি। জমির পাট্টা পেয়েছি। জল পেয়েছি। বিনা পয়সায় চাল পাচ্ছি। রাস্তাঘাট উন্নয়ন হয়েছে। একটি নয়, এলাকাতে কয়েকটি নতুন ব্রিজ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় যেটা পাওনা সেটা হল শান্তির পরিবেশ। এত শান্তির মধ্যে থাকতে পারবো তা আমরা কোনদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।” খয়েরপুর মেখলিপাড়া চা বাগান এলাকার ৪৩ নম্বর বুথে ঠিক এই ভাবেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানালেন চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। একজন ,দুজন নয়। এলাকার প্রত্যেকটি পরিবারের সদস্যরা বিজেপি জোট জামানায় গত কয়েক বছরে নিজেদের পাওনার হিসাব উল্লেখ করে সরকার এবং এলাকার বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমনকি এলাকার অভিভাবক তথা বিধায়ক রতন চক্রবর্তীকে কাছে পেয়ে নিজেদের পাওনার তথ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক প্রবীণ মহিলা।

তিনি বলেন “চাহিদার শেষ নেই, কিন্তু তারপরও অনেক পেয়েছি। সবচেয়ে বেশি যেটা পাওনা, সেটা হল শান্তির পরিবেশ। এই কথা বলে তিনি সিপিআইএম আমলে বাড়ি ঘরে হামলার প্রসঙ্গ তুলে কেঁদে উঠেন। তিনি বলেন এত শান্তিতে থাকবো কোনদিন ভাবতেও পারেনি।”
প্রসঙ্গত বিধায়ক রতন চক্রবর্তী বিজেপি জোট জমানায় টানা দু’বছর বিধায়ক হিসেবে এলাকার উন্নয়ন করে চলছেন। দেশের নাগরিকদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মোদি জি যে সমস্ত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তার সবগুলো প্রতিটি নাগরিক পাচ্ছে কিনা তার খোঁজখবর রাখেন খোদ বিধায়ক। শুক্রবার “বস্তি সম্পর্ক অভিযান” এবং “গাঁও চলো অভিযান”-এর অঙ্গ হিসেবে বিধায়ক রতন চক্রবর্তী মেখলিপাড়া চা বাগানে ৪৩ নম্বর বুথে যান । সেখানে তিনি এলাকার বাড়িঘরে গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়ককে কাছে পেয়ে প্রাণ খুলে নিজেদের প্রাপ্তির কথা জানান নাগরিকরা। তারা বারবার এই বিধায়ক এবং এই সরকারকে ভোট দেবেন এবং বুকে আগলে রাখতে চান বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
Recent Comments