দিল্লির সংবাদ,, ১৩ ডিসেম্বর,,
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলা করেছিল নিষিদ্ধ দুটি পাকিস্তানি উগ্রবাদী সংগঠন। সেই হামলায় ৮জন নিরাপত্তা রক্ষী সহ মোটা ৯জন শহীদ হয়েছিলেন। খতম করা হয়েছিল ৫ উগ্রবাদীকে।
সেই হামলার ২২ বছরের মাথায় একই দিনে(১৩ ডিসেম্বর) লোকসভার ভিতরে হলুদ ধোয়ার প্রতিবাদ হামলা ! সংগঠিত হয়েছে। বুধবার অধিবেশন চলাকালীন সময়ে সংসদে ঢুকে গেল অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবক- যুবতী। আচমকাই এক যুবক প্রথমে ভিজিটার্স গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাংসদের টেবিলের উপর দিয়ে লাফিয়ে সামনে গিয়ে সে হলুদ রঙের ধোয়া ছিটিয়ে প্রতিবাদ দেখায় । ঘটনায় সংসদ ভবন চত্বরে ব্যাপক আতঙ্ক জড়িয়ে পড়ে। অধিবেশনে উপস্থিত সাংসদ এবং অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়। পরে ভেতরের ওয়ার্ড স্টাফরা সেই যুবককে আটক করেন। এক সময় আরেকজন মহিলা বাইরে একই ভাবে হলুদ ধোয়া ছিটিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন।
দুপুর একটার পর অধিবেশনে জিরো আওয়ার চলাকালীন সময়ে বক্তব্য রাখছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। বাংলার সাংসদের বক্তব্যের মাঝেই এই ঘটনা ঘটে যায়। একজনকে ঝাঁপটে ধরার চেষ্টা করে লোকসভায় নিযুক্ত এক ওয়ার্ড স্টাফ। একই সময়ে আরেকজন মহিলা বাজি এবং কালারস স্মোক ছিটিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাকেও আটক করা হয়। বাইরে আনলে ট্রান্সপোর্ট ভবনের সামনে দু’জন ফের তাণ্ডব শুরু করে। বাইরেও হলুদ রঙের ধোঁয়া ছিটানো হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের দুই জনের মধ্যে একজনের নাম নিলম কউর(৪২) বাড়ি দিল্লি। অন্যজন আমল শিন্ডে(২৫)। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছে বর্তমান সময়ে গণতন্ত্রের উপর হামলা আসছে বলে প্রতিবাদে তারা এসব করেছে। তারা নিজেদের দেশের বেকার যুবক এবং গণতন্ত্র প্রেমী নাগরিক হিসেবে দাবি করেছেন। দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। তবে অধিবেশন চলাকালীন সময়ে সংসদ ভবনের মত দেশের সর্বাধিক নিরাপদ স্থানে এই ধরনের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে।
Recent Comments