সংবাদ প্রতিনিধি,, বিশালগড়,,২২মার্চ,,
অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকার দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের ফলে গরম জলে গুরুতর আহত হল পাঁচ বছরের দুই শিশুকন্যা। আহত দুই শিশু বর্তমানে জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনা ২০ মার্চ বুধবার মেলাঘর থানার অন্তর্গত বৈরাগীমুড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকার ঢিল ছোড়া গরম জল সেন্টারের দুই শিশুর উপর পড়ে । গরম জল গায়ে পড়তেই চামড়া ঝলসে যায় শিশুদের। তারা গুরুতর আহত হয়। আহত দুই শিশুর নাম পাংতি দেববর্মা এবং হামাড়ি দেববর্মা। জানা গেছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা জয়লক্ষী সরকার দেববর্মা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ভেতর থেকে গরম জল বাইরে ঢিল ছুঁড়েছিলেন । সেই গরম জল বাইরে খেলায় থাকা দুই খুদে ছাত্রীর শরীরে পড়েছিল। গরম জল তাদের শরীরে পরার পর একজন সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে । অন্য শিশু কন্যাটি চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের বাড়ি ঘরের লোকজন ছুটে আসেন ।
এই ঘটনার পর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা জয়লক্ষ্মী সরকার দেববর্মা এবং হেল্পার কাঞ্চনমালা দেববর্মা আহত শিশুদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করেননি। অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা আহত দুই শিশু কন্যাকে মেলাঘর হাসপাতালে নামমাত্র দেখিয়ে বাড়িতে দিয়ে আসেন। সেদিনই রাতের বেলা আহত দুই শিশু কন্যা ঝলসে যাওয়া শরীরের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে তড়িঘড়ি আহত দুই শিশুকে পরিবারের লোকজন মেলাঘর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। একদিন মেলাঘর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ২১ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। দুই শিশু সন্তান আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকার খবর জানতে পেরে অঙ্গওয়ারী সেন্টারের শিক্ষিকা জয় লক্ষ্মী সরকার দেববর্মা সামান্য কিছু টাকা আহত দুই শিশু কন্যার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেয়। অন্যদিকে দপ্তরের সম্মান বাঁচাতে মেলাঘরের সি ডি পি ও বৃহস্পতিবার সহযোগিতার না করেই শুধুমাত্র চোখের দেখা দেখে যায়। বর্তমানে আহত দুই শিশু কন্যা জিবি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দুই শিশু কন্যার শরীরের চামড়ায় গরম জল পড়ার ফলে ঝলসে গেছে। অর্থের অভাবে তারা সময়মত চিকিৎসকদের করতে এবং চিকিৎসকদের দেওয়া ঔষধ কিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এদিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের শিক্ষিকার আচরণে গোটা এলাকা জুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে। অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে আহত দুই শিশু কন্যার পরিবারের লোকজন সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিনম্র আর্জি জানিয়েছেন এবং সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি আশঙ্কার জনক দুই শিশু কন্যাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো এই দুই শিশু কন্যা প্রাণে বেঁচে যেতে পারে।
Recent Comments