প্রতিধ্বনি প্রতিনিধি,, আগরতলা,, ১৬ জুলাই,,
ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলছে। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন পুলিশ দপ্তর রাজনৈতিক সন্ত্রাস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুর্বল ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের এই দুর্বলতায় এবার মনোনয়নপত্র জমা করতে গিয়ে বামুটিয়াতে আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস নেতা সৃষ্ট মোহন দাস সহ কয়েকজন মহিলা প্রার্থী।

অভিযোগ রাস্তায় ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শাসকদলের হামলাকারীরা কংগ্রেস প্রার্থীদের গাড়ি আটকে দেয়। ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে কংগ্রেস প্রার্থীদের বের করে মারধর করার চেষ্টা করে হামলাকারী। কংগ্রেস নেতা এস এম দাস সহ অন্যরা গাড়ির ভেতর থেকে বের হননি। দরজা লক করে বসে ছিলেন। পরবর্তীকালে হামলাকারীরা গাড়ির উপর উঠে সামনের গ্লাস ভেঙে দেয়। কংগ্রেস নেতা সৃষ্ট মোহন দাস অভিযোগ করেছেন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে তারা এয়ারপোর্ট থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। এয়ারপোর্ট থানার ওসি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছিলেন কিছুই হবে না নিরাপদে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে পারবেন। কিন্তু সেখান থেকে কিছু দূর আসার পরই রাস্তায় তাদেরকে প্রথমে আটক করা হয়। এরপরই শুরু হয় হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এনসিসি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুব্রত বর্মন। পরে ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপার। সেখানে ছুটে যান সাংবাদিকরা। পরবর্তীকালে পুলিশ এবং সাংবাদিকদের সামনে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রীতিমতো এক প্রস্থ নাটক মঞ্চস্থ করেন বামুটিয়ার মন্ডল সভাপতি বিজু পাল। বিজু পাল পুলিশকে ডিঙ্গিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন মনোনয়নপত্র জমা দিলে তাদের কোন ক্ষতি হবে না। মিডিয়ার সামনে বিজু পাল দাবি করেন কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করেছে। শাসক দলের মন্ডল সভাপতির সামনে এয়ারপোর্ট থানার ওসি সহ কয়েকজন টিএসআর জোয়ান কংগ্রেস প্রার্থীদের গালমন্দ করেন বলে অভিযোগ। পুলিশও সেখানে কায়দা করে নিজেদের মোবাইল থেকে ক্যামেরা অন করে কংগ্রেস প্রার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন মনোনয়ন জমা করলে তারা নিরাপত্তা দেবেন। কিন্তু ততক্ষণে হামলার শিকার হয়ে কংগ্রেস প্রার্থীরা পুলিশের মানসিকতা বুঝতে পেরে যান। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশকে জানিয়ে গিয়েই তারা এই হামলার শিকার হয়েছেন। গাড়িতে উপস্থিত এক দুজন মহিলা প্রার্থী এই হামলায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিরাপত্তার অভাবে তারা এদিন আর মনোনয়ন জমা করেননি। মাঝ রাস্তা থেকে কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা না করে ফিরে এসেছেন।