কলকাতায় ৮ দিন ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশের সাংসদ; খুনের সন্দেহে চাঞ্চল্য।

প্রতিধ্বনি বিশেষ প্রতিনিধি,, ২২ মে,,

ভারতের কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সংসদ আনোয়ারুল আজিম ! যদিও খবর লেখা পর্যন্ত তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। সংসদ আনোয়ারুল আজিম গত ৮দিন যাবত কলকাতায় নিখোঁজ ছিলেন। তিনি সর্বশেষ যে ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন সেই ফ্ল্যাটের ভেতরে বুধবার তদন্তকারী পুলিশ রক্তের ছাপ উদ্ধার করেছে। তারপরই সাংসদকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া এই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধৃত কলকাতা ফেরত দুজন খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় একাধিক জনকে আটক এবং গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কলকাতা বাংলাদেশ হাইকমিশন এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশ এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে তদন্তের বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছে বলে জানা গেছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের তিনবারের সংসদ আনোয়ারুল আজিম। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ৪ নম্বর ঝিনাইদহ আসন থেকে জয়লাভ করে তিনি সাংসদ রয়েছেন। গত ১২ মে তিনি চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে ভারতে এসেছিলেন। কলকাতায় এসে তিনি বিধাননগরে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন। ২ দিন সেখানে থাকার পর ১৪ তারিখ তিনি ডাক্তার দেখানোর নাম করে একটি গাড়ি নিয়ে তার বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু পরদিন পর্যন্ত সংসদের কোন খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন গোপাল বিশ্বাস বিধান নগর থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপরই শুরু হয় সংসদের খোজাখোঁজ। পুলিশের তদন্তে বুধবার সামনে আসে বাংলাদেশের সাংসদকে খুনের চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতা নিউ টাউন শহরে একটি বিলাসবহুল আবাসনে একজন আফগারি আধিকারিকের আবাসনে সাংসদকে শেষবার কয়েকজনের সঙ্গে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু পরবর্তীকালে সংসদের সঙ্গে যারা ঢুকেছিলেন তারা সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেও সিসিটিভির ফুটেজে সংসদকে সেখান থেকে বের হতে দেখা যায়নি। সেই ফ্ল্যাটের নির্দিষ্ট রুমে তল্লাশি করে পুলিশ সেখানে রক্তের ছাপ দেখতে পায়। সেখানে নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের। ধারণা করা হচ্ছে সেই ফ্ল্যাটেই বাংলাদেশের সংসদ আনোয়ারুল আজিমকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু খুনের পর তাঁর দেহ কোথায় গায়েব করা হয়েছে তা নিয়ে পুলিশ খবর লেখা পর্যন্ত স্পষ্ট করে কোন তথ্য দিতে পারেনি। এই খুনের ঘটনায় বাংলাদেশেও পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তারা অতিসম্প্রতি কলকাতা থেকে বাংলাদেশ ফিরে গিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে পরিকল্পনা করেই কলকাতায় সাংসদকে খুন করা হয়েছে। পূর্ববঙ্গের সাংসদ পশ্চিমবঙ্গে খুনের ঘটনায় দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।